ইতালীতে রাজনৈতিক আশ্রয় প্রার্থনাকারীদের জন্য স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জরুরী দিক নির্দেশনা দিয়েছে। ইতালীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় কর্তৃক ১৯শে জুন ২০২০ তারিখে জারিকৃত সর্বশেষ সার্কুলার অনুযায়ী যারা এদেশে রাজনৈতিক/মানবিক আশ্রয় (এসাইলাম) প্রার্থনা করেছেন তারা নতুন আইনে বৈধতার আবেদন করতে চাইলে এসাইলাম কেইস তুলে নেয়া না নেয়া সংক্রান্ত বিভ্রান্তি নিরসন করা হয়েছে।
কৃষি/গবাদি/মৎস খামার অথবা বৃদ্ধ-বৃদ্ধাদের সেবাযত্ন কিংবা গৃহকর্মীর কাজের কন্ট্রাক্টে যারা মালিকের মাধ্যমে আবেদন জমা দেবেন তারা অন্যান্য শর্ত পূরণ সাপেক্ষে যখন স্টে পারমিট (পেরমেসসো দি সোজ্জর্নো) পাবেন তখন সিদ্ধান্ত নিতে পারবেন কোন ধরণের স্ট্যাটাসে ইতালীতে বসবাস করবেন। অর্থাৎ আপনি চাইলে রাজনৈতিক আশ্রয়প্রাপ্ত হিসেবেও যেমন এদেশে বৈধভাবে বসবাস করতে পারবেন ঠিক তেমনি চাইলে এসাইলাম চ্যাপ্টার ক্লোজ করে সাধারণ ইমিগ্রান্ট হিসেবে বৈধভাবে বসবাসের সুযোগ পাবেন।
বাংলাদেশীদের জন্য জরুরি সতর্কবার্তাঃ
ইতালী থেকে বহিষ্কারাদেশ (ফলিও দি ভিয়া) এড়াতে চাইলে বাংলাদেশী নাগরিক হিসেবে আপনাকে অবশ্যই ঐ নাম জন্মতারিখ, জন্মস্থান ব্যবহার করে নতুন আইনে বৈধতার আবেদন করতে হবে, ঠিক যে নাম জন্মতারিখ জন্মস্থান সহ অন্যান্য তথ্যাদি পুলিশ অফিসে (কস্তরা) অফিসিয়ালি জানিয়ে এসাইলাম কেইস করার সময় ফিংগার প্রিন্ট দিয়েছিলেন। এসাইলাম কেইস করে প্রাপ্ত টেম্পোরারি স্টে পারমিট (পাতা সোজ্জর্নো) যাদের ছিলো বা আছে তাতে উল্লেখিত নাম জন্মতারিখ জন্মস্থানের বাইরে যাবার কোন সুযোগ নেই নতুন আইনে বৈধতার আবেদনের জন্য। এর ব্যতিক্রম হলে আম-ছালা সবই হারাতে হবে। কোন দালাল বা ধান্ধাবাজ নেতার কথায় বিভ্রান্ত হবেন না। মনে রাখবেন, বাংলাদেশী পাসপোর্টে কিংবা সার্টিফিকেটে আপনার নাম জন্মতারিখ জন্মস্থান কি আছে, কি নেই তা বিবেচনায় নিতে বাধ্য নয় ইতালীয় প্রশাসন কারণ এদেশে রাজনৈতিক/মানবিক আশ্রয় প্রার্থনা করার সময় আপনি অফিসিয়ালি ডিক্লেয়ার করেছেন বাংলাদেশে ফিরে গেলে আপনার জীবন বিপন্ন হবে। যে কোন বিষয়ে নিশ্চিত হতে প্রয়োজনে ইতালীয়ান একাধিক আইনজীবির কাছে গিয়ে এদেশে আপনার অতীত-বর্তমান সব সত্য কথা খুলে বলুন।