ব্রাজিলে রোববার করোনা ভাইরাসে মৃতের সংখ্যা ৫০ হাজারে দাঁড়িয়েছে। এদিকে ইউরোপে করোনা পরিস্থিতির উন্নতি হওয়ার প্রেক্ষাপটে দেশগুলো ধীরে ধীরে লকডাউন থেকে বেরিয়ে আসছে। এ বাস্তবতায় স্পেন তার সীমান্ত খুলে দিচ্ছে।
বিশ্বে যুক্তরাষ্ট্রের পর করোনায় সবচেয়ে বেশি পর্যুদস্ত দেশ ব্রাজিল। ল্যাটিন আমেরিকায় করোনা ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়ছে। মেক্সিকো, পেরু ও চিলিতে আক্রান্ত ও মৃত্যু বাড়ছে এবং রোগী সামলাতে গিয়ে দেশগুলোর স্বাস্থ্য ব্যবস্থা ভেঙ্গে পড়ছে।
এদিকে করোনাকে খুব ছোট্ট ফ্লু হিসেবে বর্ণনা করায় সমোলোচিত ব্রাজিলের প্রেসিডেন্ট জায়ের বলসনারো বলেছেন, শাটডাউনের কারণে করোনার চেয়েও অর্থনৈতিক ক্ষতি আরো বেশি হচ্ছে।
তবে মেক্সিকো সিটিতে মার্কেট, রেস্টুরেন্ট, শপিং মল ও হোটেলসমূহ খুলে দেয়ার কথা থাকলেও করোনা ছড়িয়ে পড়ার গতি কমে না আসায় কর্তৃপক্ষ তা পিছিয়ে দিয়েছে। দেশটিতে করোনায় মৃতের সংখ্যা ২০ হাজার ছাড়িয়েছে। পেরুতে করোনায় মৃতের সংখ্যা ছাড়িয়েছে আট হাজার। এর বিপরীতে ইউরোপের দেশগুলোতে দেখা যাচ্ছে ভিন্ন চিত্র। ফ্রান্সে সোমবার প্রাথমিক ও মাধ্যমিক পর্যায়ের শিক্ষার্থীরা ক্লাশে ফিরতে শুরু করবে। এছাড়া সিনেমা ও থিয়েটারও খুলে দেয়া হচ্ছে। গত শুক্রবার (১৯শে জুন, ২০২০) মন্ত্রীপরিষদের বৈঠক শেষে এক আনুষ্ঠানিক ঘোষণার মধ্য দিয়ে আয়ারল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী লিও ভারাতকার লকডাউন সংক্রান্ত বিধিনিষেধ আরও শিথিল করেছেন।
আয়ারল্যান্ডে চতুর্থ ধাপে যেসব ব্যবসা প্রতিষ্ঠান খুলে দেয়ার কথা ছিল তার অনেকগুলোই এই মাসের ২৯ তারিখে খোলা হচ্ছে। সেগুলো হলোঃ প্রার্থনার স্থান (মসজিদ, মন্দির, গীর্জা), খেলার মাঠ, ক্লাব, সেলুন, বিউটি পার্লার,শরীর চর্চার কেন্দ্র, অবকাশ কেন্দ্র, সিনেমা ইত্যাদি।
ইউরোপে করোনায় সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত দেশ স্পেন। কিন্তু দেশটি তার পর্যটন শিল্পকে সচল করতে রোববার নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করে নিয়েছে। এছাড়া দেশটি ফ্রান্সের সাথে তার স্থল সীমান্ত খুলে দিচ্ছে। বিমান চলাচলও শুরু করা হয়েছে। প্রায় ১শটি বিমান ইউরোপের বিভিন্ন দেশ থেকে স্পেনের বিমান বন্দরে অবতরণ করেছে।
দেশটির প্রধানমন্ত্রী পেদ্রো সানশেজ শনিবার বলেছেন, আমাদেরকে অবশ্যই সতর্ক থাকতে এবং স্বাস্থ্য বিধি মেনে চলতে হবে। বিপদ এখনও কাটেনি বলে তিনি উল্লেখ করেন।