একজন উদার, মহানুভাব, পরোপকারী ও ন্যায় বিচারের প্রতীক হিসেবে বিশ্বে সুপরিচিত গ্রেট ব্রিটেনের রাণী, তিনি একজন সম্রাজ্ঞী হিসেবেও বিবেচিত কমনওয়েলথ দেশগুলোতে, বিশেষকরে অস্ট্রেলিয়া ও নিউজিল্যান্ডে।
বৃটেনের জাতীয় সংগীত রচিত হয়েছে তাঁকে নিয়ে যেথায় বলা আছে "God save our Queen"। বৃটিশ ন্যাচারালাইজড সার্টিফিকেট বা নাগরিকত্ব সনদের জন্য আবেদন করলেও রাণীর নামে কসম খেতে হয় নতুবা আপনার নিজের ধর্মগ্রন্থের নামে, একই নিয়ম কোর্টের বেলায়ও প্রযোজ্য। একসময়ের সাম্রাজ্যবাদী, আগ্রাসনকারী বৃটেনের সূর্য কখনো অস্তমিত হতো না, তাদের সাম্রাজ্য এতো বিশাল ছিল যে এশিয়ার কোন রাজ্যে সূর্যাস্ত হলেও আফ্রিকাতে তখন সূর্য উদয় হতো। অতীতের দুর্নাম মুছে ফেলে আজকের গ্রেটব্রিটেন উপাধির পেছনে রাণীর অবদান অনস্বীকার্য। সামাজিক বৈষম্য দূর করে বহুজাতিক সম্প্রীতির সমাজ বিনির্মানে রাণী এলিজাবেথ উদার হস্তে বরণ করে নিয়েছেন বিশ্বের নির্যাতিত মানুষদের। যুগ যুগ ধরে বহু যুদ্ধ বিধস্ত দেশের শরণার্থীদের সহায়তা করেছে বৃটেন, দেশটি জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের স্থায়ী সদস্যও বটে।
বর্তমান করোনা পরিস্থিতিতে কমনওয়েলথ দেশগুলোর খোঁজ খবর নিয়েছেন রাণী এলিজাবেথ। একসময়ের বৃটিশ কলোনীগুলো এখন আন্তর্জাতিক অঙ্গনে বৃটেনের ঘনিষ্ঠ সহযোগী, তাইতো ইউরোপীয়ান ইউনিয়নের সাথে সম্পর্ক ছিন্ন করলেও কমনওয়েলথ দেশগুলোর কারণে স্বগৌরবে টিকে থাকবে বৃটেনের সাম্রাজ্য এমনটাই ধারণা রাজনীতিবিদদের।
বৃটেনের সাধারণ নির্বাচনে বৈধ অবৈধ সকল অভিবাসীদের অধিকার আছে ভোটার নিবন্ধিত হওয়ার /ভোট দেয়ার আর এই বিশেষ অধিকার দেয়া হয়েছে একমাত্র কমনওয়েলথভুক্ত দেশগুলোর নাগরিকদের জন্য।