পৃথিবীতে প্রত্যেক দেশেই কমবেশি বর্ণবাদ এবং বৈষম্যের শিকার হচ্ছে প্রতিদিন হাজারো মানুষ কিন্তু কেন? পৃথিবীর আদি কাল থেকেই চলে আসছে এই ঘৃণ্য তম প্রথা তবে এটা ঠিক যে অনেক দেশে সরকারি এবং বেসরকারি ভাবে কঠোর নীতির জন্য পৃথিবীর অনেক দেশেই বর্ণবাদ এবং বৈষম্য কমে এসেছে, তবে একটা কথা না বললেই নয় পৃথিবীর অনেক উন্নত দেশেই কিন্তু এখনো বর্ণবাদের অস্তিত্ব বিদ্যমান।
বিশ্ব মন্ডলে দিন দিন ধনী ব্যক্তিরা সর্বোচ্চ কেড়ে নিচ্ছে আর দরিদ্ররা দরিদ্ররাই থেকে যাচ্ছে মধ্যবিত্তের কথা নাই বললাম। গত কয়েকদিন আগে ঘটে যাওয়া আমেরিকাতে পুলিশের বর্ণবাদী হামলায় একজন নিহত হওয়ার পর ওই শহরে অস্থিরতা বিদ্যমান রয়েছে পাশাপাশি অন্যান্য শহরেও প্রতিবাদী মানুষ বিক্ষোভে ছড়িয়ে পড়েছেন করোনা পরিস্থিতিতে মানুষ যেখানে ঘরে থাকার কথা বর্ণবাদ হামলার পর থেকে সবাই এখন রাস্তায় বেরিয়ে বর্ণবাদের বিরুদ্ধে সোচ্চার এবং দুর্বার গতিতে আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছে এবং এই ধরনের বর্ণবাদী হামলার প্রতিবাদস্বরূপ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে প্রতিবাদী মানুষ লকডাউন ভেঙ্গে রাস্তায় নেমে বর্ণবাদের বিরুদ্ধে সোচ্চার এবং একাত্মতা ঘোষণা করেছেন, এই ধরনের দুর্বার আন্দোলন আমরা অতীতেও দেখেছি আমরা আবার এমনও দেখেছি পৃথিবীতে যারা গণতন্ত্রের কথা বলে ওই সমস্ত দেশেই বেশি বর্ণবাদী আচরণ আমরা বিভিন্ন সময় লক্ষ্য করেছি। বিশ্বজুড়ে প্রযুক্তি যেখানে মানুষকে হাতের মুঠোয় নিয়ে এসেছে ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের মত মানুষের উন্মুক্ত বিচরণ পাশাপাশি অনুরূপ অনেক দেশেই ভিসা নীতি সহজ করেছেন ভ্রমণ ও ব্যবসায় এবং অর্থনীতি অগ্রগতি বাড়ানোর জন্য তাহলে যে এই প্রশ্নের কেন উত্তর পাওয়া যাচ্ছেনা বর্ণবাদ এবং বৈষম্যকে কেন জাদুঘরে পাঠানো যাচ্ছে না এর সদুত্তর কি কারো জানা আছে? যদি কবির ভাষায় বলি
সাদা আর কালো বাহিরে তে কেবল
ভেতরে সবার সমান রাঙা
দীলিপ বড়ুয়া
ডাবলিন, আয়ারল্যান্ড