প্রবাসী কর্মীদের দেশে থাকা দরিদ্র পরিবারগুলোকে সহায়তার আওতায় নেওয়ার দাবি জানিয়েছে প্রবাসী ক্লাব। ইউনিয়ন পর্যায়ে অন্তত ২০টি প্রবাসী পরিবারকে সরকারি সহায়তার জন্য অন্তর্ভুক্ত করতে দাবি জানানো হয়।
এক বিবৃতিতে সংগঠনের পক্ষ থেকে বলা হয়, প্রবাসীদের পরিবারগুলো রেমিটেন্সের ওপর নির্ভরশীল। করোনার কারণে পৃথিবীর কোথাও কর্মীরা কাজে যেতে পারছে না। তাই দেশে টাকা পাঠাতেও পারছে না। তারা বলেন, প্রবাসীদের মধ্যবিত্ত পরিবারগুলো কঠিন সংকটের মধ্যে আছে। তাদেরকে করোনা মোকাবেলায় সহজ শর্তে বিনা সুদে তিন লাখ টাকা ব্যাংক ঋন দিতে দাবি জানায় প্রবাসী ক্লাব। ইতালি, স্পেন, সৌদি আরব, মালয়েশিয়াসহ অন্যান্য দেশে যেসব প্রবাসী কর্মী এবং ছাত্ররা খাদ্য সংকটে আছে, তাদেরকে দূতাবাসের মাধ্যমে আর্থিক সহায়তা দিতে দাবী জানানো হয়। সংগঠটির পক্ষ থেকে আরও বলা হয়, স্থানীয়ভাবে কমিউনিটির বিভিন্ন সংগঠন ও ব্যক্তি প্রবাসী কর্মী এবং ছাত্রদের সহায়তা দিলেও তা খুবই অপ্রতুল।
বিবৃতি দেন যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসী বীর মুক্তিযোদ্ধা ডাঃ নিয়াজ খান, সৌদি আরব প্রবাসী বীর মুক্তিযোদ্ধা হাসিব প্রামাণিক, অষ্ট্রেলিয়া প্রবাসী বীর মুক্তিযোদ্ধা প্রকৌশলী খোন্দকার সালেক, পর্তুগাল প্রবাসী কমিউনিটি নেতা রানা তসলিম উদ্দীন, ফোবানার সাবেক সদস্য সচিব এম মাওলা দিলু, প্রবাসী ক্লাবের লিড কোঅর্ডিনেটর ওমর আলী প্রমুখ।
উল্লেখ্য, তিন বছর আগে প্রতিষ্ঠিত সোস্যাল মিডিয়া ভিত্তিক প্রবাসীদের শীর্ষ সংগঠন প্রবাসী ক্লাবে বিশ্বের ৪৩টি দেশে এবং ১০০টি শহরে সদস্য রয়েছেন।
জাহিদ হাসান সোহাগ
লিসবন, পর্তুগাল