অক্সফোর্ড ইউনিভার্সিটি কর্তৃক উদ্ভাবিত করোনা ভাইরাসের ভ্যাকসিন পরীক্ষামুলকভাবে মানবদেহে প্রয়োগ করা হয়েছে গত এপ্রিল মাসে। তা সফল হলে আগামী সেপ্টেম্বরের ভেতরে ৩০ মিলিয়ন ডোজ ভ্যাকসিন তৈরি করা হবে বলে ঘোষণা দিয়েছেন ব্রিটিশ বিজনেস সেক্রেটারী অলক শর্মা।
রবিবার সরকারের নিয়মিত প্রেস ব্রিফিংয়ের সময় এ ঘোষণা দেন বিজনেস সেক্রেটারী।
এই ঘোষণা আসলো লকডাউন ঘোষণার পর থেকে আজ সবচেয়ে কম মৃত্যুর দিনে। গত ২৪ ঘন্টায় মৃত্যু হয়েছে ১৭০ জনের। যা গত ৮ সপ্তাহের মধ্যে কম। ব্রিটেনে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয় সর্বমোট মৃত্যুবরণ করেছেন ৩৪৬৩৬জন।
আস্ট্রজেনিকা নামে একটি ফার্মিসিটিউক্যাল কোম্পানী এই ভ্যাকসিন তৈরী করবে এবং এর মূল্য ব্রিটিশ সাধারন জনগনের ক্রয় ক্ষমতার মধ্যে রাখা হবে বলেও আশ্বাস দেন অলক শর্মা। তবে অক্সফোর্ড ইউনির্ভাসিটির ভ্যাকসিন তৈরির চেস্টা যে সফল হবে তারও কোনো নিশ্চয়তা নেই বলেও সতর্ক করেন তিনি।
অক্সফোর্ড ইউনিভার্সিটিতে করোনা ভাইরাসের ভ্যাকসিনের ক্লিনিক্যাল পরীক্ষা শেষে চলতি সপ্তাহে মানবদেহে প্রয়োগ করা হয়েছে। এদিকে লন্ডনের ইম্পেরিয়াল কলেজেও করোনার ভ্যাকসিন তৈরি হচ্ছে। জুন মাসের প্রথম দিকে তা পরীক্ষামূলকভাবে মানব দেহে প্রয়োগ করা হবে।
বিজনেস সেক্রেটারী অলক শর্মা জানান, ভ্যাকসিন তৈরির জন্যে সরকার অতিরিক্ত আরো ৮৪ মিলিয়ন পাউন্ড ফান্ড বরাদ্দ দিয়েছে। এর আগে ৪৭ মিলিয়ন ফান্ড দিয়েছিল সরকার।
বিজনেস সেক্রেটারী জানান, অক্সফোর্ড অথবা ইম্পেরিয়াল যেখানেই প্রথম করোনা ভ্যাকসিন তৈরির সাফল্য আসবে সেখান থেকেই সর্ব প্রথম ব্রিটিশ সরকার সর্বসাধরনের জন্যে সেপ্টেম্বরের মধ্যে ৩০ মিলিয়ন ডোজ ভ্যাকসিন তৈরি করবে আস্ট্রজেনিকা। এই ফার্মাসিটিউক্যাল ফার্মের সঙ্গে অন্তত ১শ মিলিয়ন করোনা ভ্যাকসিন তৈরির চুক্তি করে রেখেছে সরকার।
অলক শর্মা জানিয়েছেন, ২০২১ সালের সামারের ভেতরে ইউনাইটেড কিংডমে করোনা ভ্যাকসিন ম্যানোফ্যাকচারিং সেন্টার খুলবে সরকার। সেখান থেকে ছয় মাসের ভেতরে ইউনাইটেড কিংডমের প্রতিটি মানুষকে করোনার ভ্যাকসিন দেওয়া হবে।