ইতালিতে বার-রেস্টুরেন্টসহ কিছু কিছু প্রতিষ্ঠানে চাকরি করা প্রবাসী বাংলাদেশীদেরও ঘরে থাকতে হচ্ছে আরও কিছুদিন। ভবিষ্যৎ নিয়ে হতাশা আর শঙ্কায় রয়েছেন তারা। পুরো দেশবাসী তাকিয়ে আছে লকডাউন শিথিলের প্রথম দিনের দিকে।
এদিকে বিশেষজ্ঞরা আশঙ্কা করছেন প্রায় ৪৫ লাখ মানুষের চলাচলে আবারো বাড়তে পারে আক্রান্তের সংখ্যা। বিপুল সংখ্যক মানুষের আনাগোনায় সংক্রমণ বাড়লে আবারও তাদের হতে হবে কঠিন লকডাউনের মুখোমুখি। ইতালিতে গত ৫০ দিনের মধ্যে মৃতের সংখ্যা সর্বনিম্ন ১৭৪ এ নেমে এসেছে। আক্রান্তের সংখ্যাও কমেছে অনেক। দেশটিতে লকডাউন শিথিলের দিন এমন খবরে আশাবাদী দেশের নাগরিক। তবে কর্মজীবী প্রবাসীদের এখনই কাজে যোগদানের সুযোগ হচ্ছে না।
মৃতের সংখ্যা কমায় ইতালিতে কিছুটা স্বস্তি ফিরে এসেছে। লকডাউন শিথিলের ঠিক আগের দিন রেকর্ড সংখ্যক কমেছে মৃতের সংখ্যা। তবে দেশটির স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেছেন, "আইন এবং নির্দেশনার দিকে তাকিয়ে থাকলে হবে না। সবাইকে দায়িত্বশীল হতে হবে। তবেই মোকাবিলা করা সম্ভব হবে প্রাণঘাতী করোনা ভাইরাস।"
সোমবার, ৪ই মে ২০২০ থেকে লকডাউনের দ্বিতীয় ধাপ অর্থাৎ লকডাউন শিথিল হচ্ছে। তবে বিনা প্রয়োজনে ঘর থেকে বের হওয়া যাবে না। যে সব প্রতিষ্ঠান খোলা হচ্ছে কেবল সেখানে যোগ দিতে বের হওয়া যাবে। তবে অবশ্যই মাস্ক এবং গ্লাভস পড়ে বের হতে হবে।
প্রায় দুই মাস বন্দি থাকার পর অতি নিকট আত্মীয়দের সাথে দেখা করতে এক প্রদেশ থেকে অন্য প্রদেশে স্বঘোষিত সার্টিফিকেট নিয়ে যাওয়া যাবে। তবে সুনির্দিষ্ট কারণ ছাড়া রাস্তায় বের হলে গুণতে হবে জরিমানা। সরকারের প্রতিটি বিভাগের প্রধান আলাদা সংবাদ সম্মেলন করে বিভিন্ন নির্দেশনা জারি করেছেন।
জুমানা মাহমুদ
ইতালি