বাহরাইনের রাজধানী মানামায় লিটন শামসুদ্দিন (৩২) নামে এক বাংলাদেশীকে হত্যা করেছে আরেক বাংলাদেশী। ইতিমধ্যে প্রায় ২৪ ঘণ্টারও কম সময়ে সন্দেহজনকভাবে ঘাতককে গ্রেপ্তার করেছে সেখানকার স্থানীয় পুলিশ এবং ঘাতক হত্যাকারী হত্যার কথা স্বীকার করেছে।
গালফ ডেইলি নিউজ সূত্রে জানা যায়, সোমবার স্থানীয় সময় বিকাল ৪টায় ধারালো অস্ত্র দিয়ে অভিযুক্ত বাংলাদেশী হত্যা করে শামসুদ্দিনকে। রাজধানী মানামায় যেখানে তিনি থাকতেন সেখানে ঘরের মেঝেতে বয়ে যায় রক্তস্রোত। স্থানীয় লোকজন তাকে মৃত অবস্থায় উদ্ধার করে। তিনি ছিলেন একজন নির্মাণ শ্রমিক। তার বাড়ি শরীয়তপুর জেলায়। অনেক স্বপ্ন নিয়ে তিনি বাহরাইনে পাড়ি দিয়েছিলেন। মাত্র তিন মাস আগে তিনি সেখানে পাড়ি জমালেও তার স্বপ্নের অঙ্কুরোদগম হওয়ার আগেই নিভে গেল জীবনপ্রদীপ। এ ঘটনায় সেখানে বাংলাদেশী সমপ্রদায়ের মধ্যে বিরাজ করছে শোক। এখনও শামসুদ্দিনের বাড়িতে এ খবর পৌঁছেছে কিনা তা জানা যায়নি।
বাহরাইনের ক্রাইম ডিটেকশন অ্যান্ড ফরেনসিক সায়েন্সের মহাপরিচালক বলেছেন, হত্যাকাণ্ডের খবর পাওয়ার পর পরই তারা সন্দেহভাজনের খোঁজে নেমে পড়েন। তারা নিহত শামসুদ্দিনের আত্মীয়স্বজন ও বন্ধুবান্ধবদের এ বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করেন। তদন্তকারীরা বেশ কয়েকটি বাংলাদেশী শ্রমিকের শিবিরে অভিযান চালায়। তিনি আরও বলেছেন, বেশ কিছুটা দূরে বাংলাদেশী শ্রমিকদের একটি শিবির থেকে সন্দেহভাজন ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। সে অপরাধের কথা স্বীকার করেছে। এ বিষয়ে বাহরাইনে নিযুক্ত বাংলাদেশ দূতাবাসের ফার্স্ট সেক্রেটারি মুহাম্মাদ ইসলাম বলেছেন, অনেকে বলছেন- শামসুদ্দিনকে তার এক বন্ধু অনুসরণ করছিল হত্যাকাণ্ডের আগে। তাকে পথেই ছুরিকাঘাত করা হয়। কিন্তু শামসুদ্দিন ভেবে থাকতে পারেন বাসায় ফিরে তিনি কারো সহায়তা নেবেন। তিনি যখন সিঁড়ি বেয়ে উপরে উঠে যান তখন সিঁড়িতে ঝরতে থাকে তার রক্ত। তিনি এক পর্যায়ে সিঁড়িতে পড়ে যান। তবে কোনক্রমে বাসায় ঢুকতে সক্ষম হন। তারপরই তিনি মারা যান। এরিয়া কাউন্সিলর সাদিক রাহমা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। তিনি বলেছেন, যেখানে ঘটনাটি ঘটেছে তা ঘনবসতিপূর্ণ। বসবাসকারীদের বেশির ভাগই কম বেতনভোগী শ্রমিক। তাদের বেশির ভাগই বিপুল অঙ্কের অর্থ খরচ করে ফ্রি ভিসা কিনে বাহরাইনে গিয়েছেন।
অনলানই ডেস্ক