জুলিয়ান অ্যাসাঞ্জকে রাজনৈতিক আশ্রয় দেয়ার পর দক্ষিণ আমেরিকার আঞ্চলিক সংস্থা দ্যা ইউনিয়ন অব সাউথ আমেরিকান নেশনস-এর মন্ত্রী পর্যায়ের বৈঠক ডেকেছে ইকুয়েডর। ব্রাজিল জানিয়েছে, ইকুয়েডর অনুসন্ধানী ওয়েবসাইট উইকিলিকসের প্রতিষ্ঠাতা জুলিয়ান অ্যাসাঞ্জকে রাজনৈতিক আশ্রয় দেয়ার সিদ্ধান্ত ঘোষণা করার পর দেশটি এ বৈঠক ডাকে।আগামী রোববার ইকুয়েডরের গুইয়াকুইলে এই বৈঠক শুরু হবে।
দক্ষিণ আমেরিকার দেশগুলোর পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের ওই বৈঠকে ব্রাজিলকে যোগ দেয়ার আহ্বান জানিয়েছে ইকুয়েডর।তবে ব্রাজিলের পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনিও প্যাট্রিওটা এ বৈঠকে যোগ দেবেন কিনা তা এখনো জানা যায়নি।তবে তিনি যোগ না দিলে অন্য ব্রাজিলের পররাষ্ট্র দপ্তরের অন্য কোন কর্মকর্তাকে গুইয়াকুইলে পাঠানো হবে।দ্যা ইউনিয়ন অব সাউথ আমেরিকান নেশনসভুক্ত দেশগুলো হচ্ছে, আর্জেন্টিনা, বলিভিয়া, ব্রাজিল, চিলি, কলাম্বিয়া, ইকুয়েডর, গুয়ানা, প্যারাগুয়ে, পেরু, সুরিনাম এবং উরুগুয়ে।
অ্যাসাঞ্জকে লন্ডনের ইকুয়েডর দূতাবাস থেকে গ্রেফতার করা হবে ব্রিটেনের এমন হুমকির প্রেক্ষিতে বৃহস্পতিবার তাকে রাজনৈতিক আশ্রয় দেয়ার ঘোষণা দেয়রে ইকুয়েডর।এ সিদ্ধান্ত ঘোষণার পর লন্ডনে দূতাবাসের বাইরে অ্যাসাঞ্জের সমর্থকরা আনন্দ মিছিল করেন। এ ছাড়া, এ সাহসী পদক্ষেপের জন্য ইকুয়েডরকে অভিনন্দন জানিয়েছেন উইকিলিকসের প্রতিষ্ঠাতা।
গত ১৯ জুন জুলিয়ান অ্যাসাঞ্জ লন্ডনের ইকুয়েডর দূতাবাসে আশ্রয় নেন। সুইডেনে ফেরত পাঠানোর হাত থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য সেখানে আশ্রয় নেন তিনি।দূতাবাসে আশ্রয় নেয়ার পর অ্যাসাঞ্জ ইকুয়েডরের কাছে রাজনৈতিক আশ্রয় চান।২০১০ সালে ইরাক ও আফগানিস্তান যুদ্ধ নিয়ে মার্কিন গোপন সামরিক নথি ও কূটনৈতিক বার্তা ফাঁস করে দিয়ে উইকিলিকস আমেরিকাকে বিব্রতকর অবস্থায় ফেলে।এছাড়া বিশ্বের অনেক দেশের সাথে মার্কিন সম্পর্ক নিয়ে উইকিলিকসের অব্যাহত বার্তা ফাঁসের কারণে অনেক ক্ষমতাধর শাসককে বিব্রতকর অবস্থায় পড়তে হয়।
উইকিলিকসের এধরনের বার্তা ফাঁস প্রচলিত সাংবাদিকতার বিপরীতে নতুন ধারার সংযোজন বলেও মনে করেন মিডিয়া বিশেষজ্ঞরা। তবে এজন্যে অ্যাসাঞ্জকে ঠিকই বৃটেন, আমেরিকার মত বেশ কয়েকটি পশ্চিমা দেশগুলোর তোপের মুখে পড়তে হয়।
এদিকে ব্রিটেন বলেছে, ইকুয়েডর অ্যাসাঞ্জকে রাজনৈতিক আশ্রয় দিলেও তাতে পরিস্থিতির কোনো পরিবর্তন হবে না।লন্ডনে ইকুয়েডরের দূতাবাসের বাইরে পুলিশের অবস্থান আরো জোরদার করা হয়েছে। প্রায় ৩০ পুলিশ কর্মকর্তা এবং নয়টি গাড়ি এ দূতাবাস ভবনের আশে পাশে মোতায়েন করা হয়েছে।অনেকে আশঙ্কা করছেন, লন্ডনে ইকুয়েডর দূতাবাস থেকে বের হওয়া মাত্রই জুলিয়ান অ্যাসাঞ্জকে গ্রেপ্তার করবে পুলিশ।
অনলাইন ডেস্ক