খাদ্য নিরাপত্তায় বাংলাদেশ দক্ষিণ এশিয়ার ছয় দেশের মধ্যে সবচেয়ে পিছিয়ে। তবে এই দেশগুলোর মধ্যে শ্রীলঙ্কার অবস্থান শীর্ষে। ইকোনমিস্ট ইনটেলিজেন্স ইউনিট প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে এ তথ্য উঠে এসেছে।

বিশ্বের ১০৫টি দেশের মানুষের ক্রয়ক্ষমতা, খাদ্যের সহজলভ্যতা এবং মান ও নিরাপত্তা- এ তিনটি সূচকের ভিত্তিতে এই প্রতিবেদন তৈরি করেছে ব্রিটেনের প্রভাবশালী সাময়িকী ইকোনমিস্টের এই গবেষণা শাখা।এতে বলা হয়েছে, খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করার ক্ষেত্রে দক্ষিণ এশিয়ার ছয় দেশের মধ্যে বাংলাদেশ সবচেয়ে পিছিয়ে রয়েছে।

প্রতিবেদনে খাদ্য নিরাপত্তার ভিত্তিতে দেশগুলোর যে তালিকা ইকোনমিস্ট ইনটেলিজেন্স ইউনিট প্রকাশ করেছে, তাতে ১০০-এর মধ্যে ৩৪ দশমিক ৬ পয়েন্ট নিয়ে বাংলাদেশের অবস্থান ৮১তম। আর দক্ষিণ এশিয়ার এ দেশগুলোর মধ্যে সবার চেয়ে এগিয়ে আছে শ্রীলঙ্কা। ৪৭ দশমিক ৪ পয়েন্ট নিয়ে তালিকায় তাদের অবস্থান ৬২তম। এছাড়া এই তালিকায় ভারত ৬৬তম (স্কোর ৪০.৫), পাকিস্তান ৭৫তম (স্কোর ৩৮.৫), মিয়ানমার ৭৮তম (স্কোর ৩৭.২) ও নেপাল ৭৯তম (স্কোর ৩৫.২) অবস্থানে রয়েছে।

খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করার ক্ষেত্রে বাংলাদেশের তিনটি শক্তির জায়গা উঠে এসেছে এই প্রতিবেদেন। এগুলো হলো পুষ্টিমান, কৃষি উৎপাদনের নিশ্চয়তা ও কৃষকদের ঋণ প্রাপ্তির সুবিধা। তবে আটটি ক্ষেত্রে বড় ধরনের দুর্বলতা খুঁজে পেয়েছে ইকোনমিস্ট ইনটেলিজেন্স ইউনিট। কৃষি গবেষণা ও উন্নয়নে সরকারের বরাদ্দের স্বল্পতা, খাবারে বৈচিত্রের অভাব, মাথাপিছু গড় বার্ষিক উৎপাদন কম হওয়া, আমিষ জাতীয় খাদ্যের স্বল্পতা, রাজনৈতিক অস্থিরতা ও সরবরাহের অপ্রতুলতা এর অন্যতম।

খ্যাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করার ক্ষেত্রে স্বাভাবিকভাবেই ধনী দেশগুলো এগিয়ে আছে। তালিকার প্রথম তিনটি স্থানে রয়েছে যুক্তরাষ্ট্র (স্কোর ৮৯.৫), ডেনমার্ক (স্কোর ৮৮.১) ও ফ্রান্স (স্কোর ৮৬.৮)।

এ তালিকায় একেবারে তলানিতে ঠাঁই হয়েছে আফ্রিকার সাহারা সংলগ্ন এলাকার দেশগুলোর।  ১০৫ দেশের এই তালিকার শেষ তিনটি অবস্থানে রয়েছে বুরুন্ডি (স্কোর ২২.৯), শাদ (স্কোর ২০.২) ও ডিআর কঙ্গো (স্কোর ১৮.৪)।

অনলাইন ডেস্ক