ইরানের সাথে বিপুল পরিমাণ অবৈধ অর্থ লেনদেনের তথ্য গোপন করার অভিযোগে চৌত্রিশ কোটি ডলার জরিমানা দিতে সম্মত হয়েছে ব্রিটিশ ব্যাংক স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড। সেই সাথে অভিযোগ নিষ্পত্তির অংশ হিসেবে ব্যাংকটি এর নিউইয়র্ক ব্রাঞ্চে ভবিষ্যৎ লেনদেন তদারক করার জন্য একজন পর্যবেক্ষক বসাতেও রাজি হয়েছে। 

স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ডের বিরুদ্ধে অভিযোগ, ব্যাংকটি লেনদেনের তথ্য মুছে ফেলার মাধ্যমে ইরানকে অর্থ পাচার করতে সহায়তা করেছে। নিউইয়র্কের আর্থিক নিয়ন্ত্রক বা ফাইনান্সিয়াল রেগুলেটর দাবি করছে, অবৈধভাবে লেনদেন হওয়া এই অর্থের পরিমাণ আড়াই হাজার কোটি ডলার। স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড অভিযোগ স্বীকার করে নিলেও বলে আসছে যে লেনদেন হওয়া অর্থের পরিমাণ এক কোটি চল্লিশ লাখ ডলারের বেশী নয়। তবে শেষ পর্যন্ত তাদেরকে জরিমানা দিতেই হচ্ছে। নিয়ন্ত্রকদের সাথে রফা করার জন্য ব্যাংকের প্রধান নির্বাহী পিটার স্যান্ডস এখন নিউইয়র্কে রয়েছেন। অভিযোগের ব্যাপারে আজ বুধবারের একটি পূর্বনির্ধারিত শুনানি এরই মধ্যে মুলতবি করা হয়েছে।

নিউইয়র্ক স্টেট ডিপার্টমেন্ট অব ফিনান্সিয়াল সার্ভিস বা ডিএফএস তাদের এক বিবৃতিতে বলছে, তারা অভিযোগের নিষ্পত্তি করবার জন্য গত ৬ই অগাস্ট যে নির্দেশ দিয়েছিলো তাতে একমত হয়েছে স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড। এ ব্যাপারে একটি আনুষ্ঠানিক চুক্তিও দ্রুত সময়ের মধ্যে সম্পন্ন হবে, বলছে ডিএফএস। চৌত্রিশ কোটি ডলারের এই জরিমানা অংকটি যদিও অনেক বড় তবে, এ ধরণের পরিস্থিতিতে আরো দুএকটি ইউরোপিয়ান ব্যাংককে এর চাইতেও বেশী অংকের জরিমানা গুনতে হয়েছে এর আগে। একইরকম অভিযোগ নিষ্পত্তি করার জন্য ব্রিটেনের এইচএসবিসিকে গুনতে হয়েছে সত্তর কোটি ডলার।

তবে স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ডের জন্য স্বস্তির বিষয় হলো, বিষয়টি ফয়সালা হয়েছে। পরিস্থিতি আরো খারাপের দিকে যেতে পারতো। নিয়ন্ত্রক সংস্থা এমন হুমকিও দিয়েছিলো যে নিউইয়র্কে ব্যাংকিং চালিয়ে যাওয়ার লাইসেন্সও কেড়ে নেয়া হতে পারে তাদের কাছ থেকে।

অনলাইন ডেস্ক