ব্রিটিশ পতাকাবাহী কোনো জাহাজ আর্জেন্টিনার বুয়েন্স আয়ার্স প্রদেশের কোনো বন্দরে নোঙর করতে পারবে না। আর্জেন্টিনার বৃহত্তম প্রদেশ বুয়েন্স আয়ার্সের সংসদ সদস্যরা শুক্রবার সংসদে বিলটি পাস করার পর এ নিষেধাজ্ঞা শুরু হল। বিতর্কিত ফকল্যান্ড দ্বীপপুঞ্জ নিয়ে যুক্তরাজ্যের সঙ্গে এক মাস আলোচনার পর আর্জেন্টিনা কোনো সিদ্ধান্তে আসতে না পেরে ব্রিটেনের জাহাজগুলোর ব্যাপারে এমন সিদ্ধান্ত নিলো দেশটি।
আর্জেন্টিনা দাবি করে ফকল্যান্ড দ্বীপপুঞ্জ তার ভূমির অংশ। এর আগে, ফকল্যান্ড দ্বীপপুঞ্জ নিয়ে ব্রিটেন ও আর্জেন্টিনার মধ্যে ১৯৮২ সালে ৭৪ দিনব্যাপী যুদ্ধ হয়। কিন্তু তারপরও ফকল্যান্ড দ্বিপপুঞ্জ বৃটেন ও আর্জেন্টিনা উভয় দেশই নিজেদের বলে দাবি করে আসছে।
এ বছরের শুরুতেই আর্জেন্টিনা ৫টি ব্রিটিশ তেল কোম্পানির বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়। দেশটির ক্ষমতাসীন দলের সংসদ সদস্য রেমো কারলোত্তো বলেছেন. ন্যাটোর উপস্থিতিতে কোনো উপনিবেশবাদীদের আমাদের দ্বীপপুঞ্জে আসতে দেব না। তাদের প্রতি আমাদের অবশ্যই কঠোর হতে হবে যারা আমাদের প্রাকৃতিক সম্পদ খুঁজে তা আত্মস্থ করে এবং সার্বভৌমত্ব লঙ্ঘন করে।
বুয়েন্স আয়ার্সের সংসদে এই বিল পাশ হবার কারণে ফকল্যান্ড দ্বীপপুঞ্জ এলাকায় প্রাকৃতিক সম্পদ আহরণকারী কোনো জাহাজের বন্দরে প্রবেশ, নোঙর ও মালামাল খালাসসহ সব তৎপরতা নিষিদ্ধ হল। আর্জেন্টিনার আরেক সংদস সদস্য মার্টিন সাবাতিলা বলেছেন, ফকল্যান্ড দ্বীপপুঞ্জ এলাকায় তার দেশের সার্বভৌমত্ব প্রতিষ্ঠায় সব ধরনের পদক্ষেপ নেয়া উচিত। আর এজন্যেই সুনির্দিষ্ট পদক্ষেপ নেয়ার মাধ্যমে রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হচ্ছে।
শিহাব উদ্দিন – বার্তা সম্পাদক