পাকিস্তানকে বরাবরই আনপ্রেডিক্টেবল হিসাবে সারা বিশ্ব ক্রিকেট চেনে এবং তাদের আনপ্রেডিক্টেবল চরিত্রের বহিঃপ্রকাশ ঘটিয়ে সরাসরি ৮ উইকেটের জয়, সাথে তারা পৌঁছে গেছে সুপার এইটে।
ফলে টি-২০ বিশ্বকাপে ‘ডি’ গ্রুপ থেকে বাংলাদেশ বিদায় নিলো। আর এই গ্রুপ থেকে আগেই শেষ আটের খেলা নিশ্চিত করেছিল নিউজিল্যান্ড। তবে, পরিসংখ্যানের প্রসঙ্গ আসছিল, কারণ বাংলাদেশ পাকিস্তানের সামনে জয়ের লক্ষ্য দিয়েছে ১৭৬ রানের। দলটির নাম ‘পাকিস্তান’ বলেই এসব আর কাজে আসেনি। এর আগে বাংলাদেশের ছুঁড়ে দেয়া ১৭৬ রানের জয়ের লক্ষ্যে পাকিস্তান শুরু থেকেই আক্রমণাত্মক ক্রিকেট খেলে।
উদ্বোধনী জুটিতে অধিনায়ক মোহাম্মদ হাফিজ এবং ইমরান নাজির করেন ১২৪ রান। এরপরই ১৪তম ওভারে বল হাসে এসে আবুল হাসান তৃতীয় বলে ইমরান নাজিরকে (৭২) তুলে নেন ফরহাদ রেজার তালুবন্দি করে। একই ওভারের শেষ বলে আউট করেন হাফিজকে (৪৭), উইকেটের পেছনে ক্যাচ বানিয়ে। ৩৬ বলে ৭২ রানের ইনিংসে ম্যাচসেরা ইমরান নাজির রীতিমতো টাইগার বোলারদের ওপর ঝড় বইয়ে দেন। ৯ চার ৩ ছক্কায় তিনি এই রান করেন। আর হাফিজ ৪৭ বলে ৪৫ রানের ইনিংসে ছয়টি বাউন্ডারি হাকান। অবশ্য বাংলাদেশ দলের ফিল্ডিং ছিল গত ম্যাচের মতোই বাজে।
ইমরান নাজির ও হাফিজের জুটির পরেও একটুও চাপ অনুভব করেনি পাকিস্তান মূলত নাসির জামশেদ আর কামরান আকমলের আরেক ঝড়ে। তারা দুজন অবিচ্ছন্ন থেকে ১৭৮ রান করে ৮ উইকেটে বড় জয় তুলে মাঠ ছাড়েন। জামশেদ ১৪ বলে সমানসংখ্যক দুটি চার-ছয়ে করেন ২৯ রান। আর কামরান আকমলের সংগ্রহ ১৫ বলে ৪ চারে ২২ রান। ৩৩ রানে দুই উইকেট নিয়ে আবুল হাসানই বাংলাদেশের সেরা বোলার।
পাল্লেকেলে স্টেডিয়ামে টসজয়ী বাংলাদেশ ৬ উইকেটে ১৭৫ রান করে। সার্বিক সর্বোচ্চ ৮৪ রান করেন। এই ম্যাচের মাধ্যমে শেষ আটে খেলা নিশ্চিত করতে হলে পাকিস্তানকে ১৩৮ রানের মধ্যে বেধে রেখে ৩৯ রানের জয় তুলে নেওয়ার লক্ষ্য ছিল টাইগারদের। তবে তা ম্যাচ শেষে কোনো কাজেই আসেনি। প্রথম খেলায় বাংলাদেশ নিউজিল্যান্ডের কাছে ৫৯ রানে হেরে যায়। নিউজিল্যান্ড হারে পাকিস্তানের কাছে।
অনলাইন ডেস্ক