আশুরা বিপ্লব-১: হিজরী ৬০ সালের কথা৷ কয়েক দিন মাত্র অতিক্রান্ত হয়েছে, এজিদ তার পিতার স্থলাভিষিক্ত হয়েছে৷ মুসলিম সাম্রাজ্যের রাজসিংহাসন ঘিরে চলছে আনন্দ ফুর্তি এবং উত্স্বের সমারোহ৷ কিন্তু এজিদের চোখে মুখে চিন্তার ছায়া, দৃষ্টির গভীরে লুকিয়ে থাকা উদ্বেগের নিশানা মাঝে মধ্যেই মেঘাচ্ছন্ন আকাশের প্রচ্ছন্ন চাঁদের মত প্রকাশিত হচ্ছে৷

গভির শোকাবহ মুহররম আবারো এসেছে ফিরে। এসেছে কারবালার ঐতিহাসিক ত্যাগের কথা, মর্মন্তুদ শাহাদাতের কথা আর নবীজীর সন্তানের ওপর বর্বর নৃশংসতার কথা স্মরণ করিয়ে দিতে। ইমাম হোসাইন (আ) এর বিপ্লব কেবল একটা মুখোমুখি সংঘর্ষ কিংবা যুদ্ধই ছিল না বরং এই বিপ্লবের মধ্যে ছিল উন্নত নৈতিকতা এবং আধ্যাত্মিকতার উচ্চতরো শিক্ষা।

পবিত্র মোহররম মাসের আগমনের সাথে সাথে বিশ্ব মুসলিম জেগে ওঠে, অন্যায়ের বিরুদ্ধে তাঁর অক্লান্ত জেহাদি প্রেরণা স্থান-কাল-পাত্র ভেদে সকল প্রজন্মকেই উদ্দীপ্ত করে তোলে। যেভাবে বৃষ্টি এসে সতেজ করে তোলে তৃষ্ণার্ত সকল উদ্ভিদকে।

কারবালার বিপ্লব বিশ্ব ইতিহাসের এক অনন্য বিপ্লব। অমর এ বিপ্লবের কিছু কারণ ও প্রেক্ষাপট সম্পর্কে আলোচনা করা হলো- ইমাম হোসাইন (আঃ) ইসলামের প্রকৃত স্বরূপকে চিরবিলুপ্তির হাত থেকে রক্ষা করার জন্য এবং স্বাধীনতা, মানবিক মূল্যবোধ ও সম্মানকে প্রতিষ্ঠিত করার জন্য সর্বোচ্চ ত্যাগ ও কোরবানীর নজির রেখেছিলেন।