তাদের তো এরকম করার কথা না? ’৯০ এর দশকের শুরুতেই সেখানে মুসলিমদের ওপর দমন-পীড়ন শুরু হলে প্রায় ৫ লাখ রোহিঙ্গা বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়।রয়টার্স জানায়, ২৯শে মে রাখাইন প্রদেশের তাংগোকে শহরে বৌদ্ধদের হামলায় ১০ মুসলিম নিহত হয়। শুক্রবার জুমার নামাজের পর দোয়া মহফিলে আরও এক মুসলমানকে গুলি করে হত্যার পর এ সংঘর্ষ ছড়িয়ে পড়ে বলে সূত্র দাবি করেছে। বৌদ্ধরা মুসলমানদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে নির্যাতন চালায়। নির্যাতনের ভয়ে বাড়িঘর ছেড়ে পালালে আগুন দেয়া হচ্ছে।

এতে মৃতের সংখ্যা ও ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ কত হতে পারে তা নিশ্চিতভাবে জানাতে পারেনি সূত্রটি। আকিয়াবের রাসেদং নামের এক গ্রামের ৪৭ পরিবারে সদস্যদের মেরে ফেলা হয়েছে বলে অসমর্থিত সূত্র দাবি করেছে। এছাড়া বিভিন্ন এলাকায় শতাধিক লোক মারা গেছে বলে দাবি করা হচ্ছে। আহতের সংখ্যা কয়েকশ’ হতে পারে বলে জানানো হয়েছে। এদিকে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাতে মংডু, নয়াপাড়া , বুছিদং এলাকায় কারফিউ জারি করে মিয়ানমারের সেনাবাহিনী। এরপরও বিভিন্ন এলাকায় বৃষ্টির মতো গোলাগুলি হয়েছে বলে খবর এসেছে।

"আর তোমাদের কি হল যে, তেমারা আল্লাহর রাহে লড়াই করছ না দুর্বল সেই পুরুষ, নারী ও শিশুদের পক্ষে, যারা বলে, হে আমাদের পালনকর্তা! আমাদিগকে এই জনপদ থেকে নিষ্কৃতি দান কর; এখানকার অধিবাসীরা যে, অত্যাচারী! আর তোমার পক্ষ থেকে আমাদের জন্য পক্ষালম্বনকারী নির্ধারণ করে দাও এবং তোমার পক্ষ থেকে আমাদের জন্য সাহায্যকারী নির্ধারণ করে দাও।" (An-Nisaa: 75)

ইসলাম আর মুসলমানদের বিরুদ্ধে যে সকল কাফির মুশরিক ই একই হিংস্র চেতনা লালন করে, তার প্রমান দিচ্ছে রাখাইন-মগ বৌদ্ধরা! কোথায় জনাবা সূচী? তার শান্তির বাণী? - এই দাঙ্গা বন্ধ করুন!

আমার মুসলমান ভাই-মা-বোন আর নিষ্পাপ শিশুদের রক্তে আপনার মিয়ানমার ভিজে গেছে। বন্ধ করুন এই হত্যাযজ্ঞ!! আপনাদের বৌদ্ধদের অহিংসা নীতির আড়ালে লুকিয়ে থাকা হিংস্রতার দাঁতাল ভয়াল রূপটি বিশ্ববাসীর সামনে উন্মোচিত হয়ে গেছে! - বাংলাদেশের মুসলিমগন! যে যেখানে আছেন, বার্মাবাসী রোহিঙ্গা মুসলিম ভাই-বোনদের পাশে দাড়ান! আন্তর্জাতিক সংবাদ মাধ্যম এবং ইন্টারনেটের প্রতিটি সেক্টরে মিয়ানমারে মুসলিম হত্যাযজ্ঞের ঘটনাগুলো তুলে ধরুন!

আল্লাহ আমাদের মুসলিম ভাই বোনদের হেফাযত করুন, নিরাপদ ও শান্তি ফিরিয়ে আনুন

মনিরুজ্জামান মানিক – বার্তা সম্পাদক