ধর্মব্যবসায়ী জামাতের সন্ত্রাসবাদী কানেকশন: বিগত বিএনপি-জামাত জোট সরকারের আমলে ক্ষমতার ছত্রছায়ায় ব্যাপকভাবে উত্থান ও বিস্তৃতি ঘটে সশস্ত্র ধর্মান্ধ সন্ত্রাসী গোষ্ঠীর। প্রথমদিকে ভিন্ন নামে গোপনে সন্ত্রাসী তৎপরতা চালালেও ২০০৪ সালের প্রথমার্ধে রাজশাহীর বাগমারায় সন্ত্রাসীবাদী সংগঠন ‘জাগ্রত মুসলিম জনতা, বাংলাদেশ’ (জেএমজেবি) নামে প্রকাশ্য কর্মকা- শুরু করে শীর্ষ সন্ত্রাসী সিদ্দিকুল ইসলাম ওরফে বাংলাভাই ওরফে বাংলা সন্ত্রাসী। আর ২০০৫ সালের ১৭ আগস্ট সারা দেশে একযোগে বোমা হামলার মাধ্যমে প্রকাশ্য আত্মপ্রকাশ ঘটায় ভয়ঙ্কর ধর্মান্ধ সন্ত্রাসী সংগঠন ‘জামা’আতুল মুজাহিদীন বাংলাদেশ’ (জেএমবি)। 

পরবর্তীতে জানা যায় জেএমবি ও জেএমজেবি আসলে একই সংগঠন। অভিযোগ উঠে, মূলত স্বাধীনতাবিরোধী দল ধর্মব্যবসায়ী জামাতে মওদুদী ও তাদের ক্যাডারভিত্তিক ছাত্র সংগঠন ছাত্রশিবিরই এই ধর্মান্ধ সন্ত্রাসবাদী সংগঠন দুটির জন্মদাতা। রাষ্ট্রক্ষমতায় থাকার সুবাদে সরকার ও প্রশাসনকে ব্যবহার করে বিশেষ নীলনকশার অংশ হিসেবেই গড়ে তোলা হয় এই ধর্মান্ধ সন্ত্রাসী গোষ্ঠীকে।

বিভিন্ন সময় আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর হাতে যেসব ধর্মান্ধ সন্ত্রাসী ধরা পড়েছে তাদের মাধ্যমেই বেরিয়ে আসে জামাতের ধর্মান্ধ সন্ত্রাসবাদের সংশ্লিষ্টতা। দেখা যায়, আটককৃতদের অধিকাংশই (প্রায় ৬০ ভাগ) কোনো না কোনোভাবে জামাত-শিবিরের সঙ্গে জড়িত। তবে বিএনপি কাজ করে জামাতের পরিকল্পনা বাস্তবায়নের সহায়ক শক্তি হিসেবে। যদিও বিএনপি’র কতিপয় মন্ত্রী ও সাংসদ সরাসরি সশস্ত্র ধর্মান্ধ সন্ত্রাসীদের মদদ দিয়েছে বলে পত্রিকায় রিপোর্ট প্রকাশ হয়েছে।