ইসলাম ও মহানবী হজরত মুহাম্মদকে (সা.) কটাক্ষ করে চলচ্চিত্র নির্মাণ করায় উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে বিশ্ব মুসলিম সমাজ।
বিতর্কিত ওই চলচ্চিত্রের কারণে বেশ কয়েকটি মুসলিম দেশে ভয়াবহ ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রে নির্মিত বিতর্কিত ওই চলচ্চিত্রের প্রতিবাদে হামলা হয়েছে লিবিয়া, মিসর ও ইয়েমেনের মার্কিন দূতাবাসে। নিহত হয়েছেন লিবিয়ায় নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত। মুসলিম ধর্মীয় মূল্যবোধকে প্রচণ্ডভাবে আঘাত করা ওই চলচ্চিত্রটির নির্মাতা নিজের পরিচয় দিয়েছেন স্যাম বাসিল নামে। কিন্তু তার পুরো পরিচয় পাওয়া যায়নি। ফলে তার প্রকৃত পরিচয় ও পেশা নিয়ে সংশয় দেখা দিয়েছে। এমনকি চলচ্চিত্রে অভিনয় করা কলাকুশলীরাও নাকি জানতেন না যে, এ ধরনের একটা বিতর্কিত চলচ্চিত্র নির্মাণ করতে যাচ্ছেন এই স্যাম বাসিল।
এদিকে, ওয়াল স্ট্রিট জার্নালকে দেওয়া এক সাক্ষাত্কারে নিজেকে একজন ইসরায়েলি-আমেরিকান বলে পরিচয় দিয়েছেন স্যাম বাসিল। কিন্তু তার ঠিকানা ও পরিচয় সম্পর্কে কিছুই নিশ্চিত হতে পারেনি ইসরাইলি কর্তৃপক্ষ। ইসরায়েলের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র ইলগার পালমোর বলেছেন, ওই ব্যক্তি অজ্ঞাত। তার সম্পর্কে কোনো তথ্য তাদের কাছে নেই। এমনকি তার ইসরাইলি নাগরিকত্ব ছিল না সে বিষয়টিও নিশ্চিত হওয়া যায়নি। বিতর্কিত চলচ্চিত্রটির পাণ্ডুলিপি-পরামর্শক হিসেবে কাজ করা স্টিভ ক্লেইন জানিয়েছেন, বাসিল বর্তমানে আত্মগোপনে রয়েছেন। এমনকি এই স্যাম বাসিল নামটাও একটা ছদ্মনাম বলে জানিয়েছেন ক্লেইন।
ওই চলচ্চিত্রে ইসলামকে নিয়ে এভাবে অবমাননাকর বক্তব্য প্রদান করা হবে, সেটা নাকি এর কলাকুশলীরাও জানতেন না। নাম প্রকাশ না করার শর্তে ওই চলচ্চিত্রের একজন অভিনেত্রী জানিয়েছেন, গত বছরের জুলাইয়ে ‘মরু যোদ্ধা’ শিরোনামের একটি চলচ্চিত্র নির্মাণের কথা প্রচার করে অভিনেতা-অভিনেত্রীদের আহ্বান করা হয়েছিল।এখানে কাজ করা প্রায় ৮০ জন কলাকুশলী ‘ভীষণভাবে প্রতারিত’ হয়েছেন বলে অভিযোগ করেন তিনি। এক যৌথ বিবৃতিতে তারা জানান, ‘এ ঘটনায় চলচ্চিত্রটির পুরো ইউনিট প্রচণ্ডভাবে মর্মাহত। যেভাবে পাণ্ডুলিপি পুনর্লিখন করা হয়েছে, তাতে আমরা প্রচণ্ড আঘাত পেয়েছি।
অনলাইন ডেস্ক