এই ছবির মাঝখানে যেই সুদর্শন যুবকটিকে দেখতে পাচ্ছেন তাঁর নাম আজাদ। তিনি অত্যন্ত ধনী পরিবারের সন্তান ছিলেন। তিনি মার্কেটে গিয়ে তখনকার দিনে এক ধাক্কায় ১০০০ টাকায় এলভিস প্রিসলির রেকর্ড কিনে আনতেন গান শোনার জন্য। তিনি শাফি

ইমাম রুমীদের সাথেই ক্র্যাকপ্লাটুনের অংশ হিসেবে মুক্তিযুদ্ধ করেন। পরে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর হাতে আজাদ ধরা পড়ে এবং তাঁকে বলা হয়, সে যদি অন্য মুক্তিযোদ্ধাদের নাম এবং অবস্থান বলে দেয়, তাহলে তাঁকে ছেড়ে দেওয়া হবে। আজাদের মা আজাদকে বলেন যত অত্যাচারই করুক না কেন বাবা কারও নাম বলিস না। মা কয়েকদিন পর আজাদের জন্য জেলে ভাত নিয়ে যান কারণ আজাদ ভাত খেতে চেয়ে ছিলো। সেই ভাত আর আজাদের খাওয়া হয়নি। আজাদ কে আর খুঁজে পাওয়া যায়নি। দেশ স্বাধীন হওয়ার পর ১৫ বছর বেঁচে ছিলেন আজাদের মা। ওই ১৫ বছর আজাদের মা একবারের জন্যও ভাত খাননি। কখনো খাটে ঘুমাননি কারণ আজাদ বন্দি অবস্থায় মেঝেতে ঘুমাতো তাই তিনিও কখনো খাটে ঘুমাননি।

একেই বলে মায়ের ভালোবাসা!!
সবাইকে ছবিটি শেয়ার অথবা বন্ধুদেরকে ছবিটি ট্যাগ করে দেওয়ার জন্য অনুরোধ করছি।

কারণ নতুন প্রজন্ম মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস জানে না। তাদেরকে মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস জানাতে হবে। আমরা স্বাধীন বাংলাদেশ পেয়েছি এই রকম লাখ লাখ আজাদ এবং আজাদের মায়ের মত মা থাকার কারণে।

স্যালুট সেই আজাদ আর তার জন্মধাত্রি মাকে!

অনলাইন ডেস্ক