আলেমকুল শিরোমনি, হাদিস বেত্তা শাইখুল হাদিস আল্লামা মাওলানা আজিজুল হক গতকাল চিরনিন্দ্রায় মাথা রাখলেন কেরানীগঞ্জের আটিবাজারে এক ছায়া সুশীতল বৃক্ষ তলে। বুধবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে রাজধানীর আজিমপুরে নিজ বাসায় শায়খুল হাদিস আল্লামা আজিজুল হক শেষনিঃশ্বাস ত্যাগ করেন।
তিনি দীর্ঘদিন ধরে বার্ধক্যজনিত রোগে ভুগছিলেন। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৯৩ বছর। তিনি পাঁচ ছেলে, আট মেয়ে, নাতি-নাতনিসহ আত্মীয়স্বজন ও অসংখ্য গুণগ্রাহী রেখে গেছেন। দেশ-বিদেশে তার হাজার হাজার ছাত্র রয়েছে। জাতীয় ঈদগাহ ময়দানে বেলা সোয়া ১১ টার জানাজায় দেশের রাজনীতিক, আলেমকুল, ছাত্র-শিক্ষক, পেশাজীবীসহ সর্বস্তরের লাখো মানুষের ঢল নামে। জানাজায় ইমামতি করেন তার মেজো ছেলে মুফতি মাহফুজুল হক। বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশারফ হোসেন, এমকে আনোয়ার,ঢাকার সাবেক মেয়র সাদেক হোসেন খোকা, ইসলামী ঐক্যজোটের চেয়ারম্যান মুফতি ফজলুল হক আমিনী, স্থানীয় সরকার প্রতিমন্ত্রী জাহাঙ্গীর কবির নানক ও আওয়ামী লীগের ধর্ম সম্পাদক শেখ আবদুল্লাহ, খেলাফত আন্দোলনের সিনিয়র নায়েবে আমীর হাফেজ কারী মাওলানা আতাউল্লাহ (দা.বা) জানাজায় অংশগ্রহণ করেন।
শায়খুল হাদিস দীর্ঘদিন বার্ধক্যজনিত রোগে ভোগার পর বাক্ ও স্মৃতিশক্তিরহিত অবস্থায় গত বুধবার দুপুরে রাজধানীর আজিমপুরে নিজ বাসায় ইন্তেকাল করার খবর ছড়িয়ে পড়ার পর সারাদেশে তার বেশুমার ছাত্র-আলেম-উলামার মাঝে শোকের ছায়া নেমে আসে। দূর-দূরান্ত থেকে তারা জানাজায় শরিক হওয়ার জন্য ঢাকার উদ্দেশ্যে যাত্রা করেন। গতকাল সকাল থেকেই মানুষ আসতে থাকে রাজধানীর জাতীয় ঈদগাহ মায়দানে। বেলা ১১ টার মধ্যে বিশাল ময়দান লোকে-লোকারণ্য হয়ে ওঠে। এখানে হাজির হন শায়খুল হাদিসের একটানা ছয় দশকের ছবক আর দরসে গড়ে ওঠা দেশের বরেণ্য আলেম, মুফাসি্সর-মুহাদ্দিস-মুফতি-উলামায়ে কেরামগণ। হাদিসশাস্ত্রে বিশেষ পাণ্ডিত্যের জন্য ‘শায়খুল হাদিস’ উপাধিপ্রাপ্ত আজিজুল হকের জানাজার সূচনাভাগে মুফতি আমিনীসহ কয়েকজন বক্তব্য রাখেন।
এ, কে, আজাদ – বার্তা সম্পাদক