‘বিশ্বের ক্ষমতাধর ১০০ জন নারীর তালিকা বিশ্লেষণ করে, ২০ জন নারীর একটি তালিকা তৈরি করা হয়েছে। তাতে প্রথম অবস্থানে আছেন হিলারি। বিশ্বের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ পদে থেকে দায়িত্ব পালনের পাশাপাশি একমাত্র মেয়েকে দেখাশোনার ব্যাপারেও তিনি অনেক যত্নশীল।’ 

বিশ্বের সবচেয়ে ক্ষমতাধর মা হলেন যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিলারি ক্লিনটন। ফোর্বসওম্যান সাময়িকী হিলারিকে এই স্বীকৃতি দিয়েছে। বিশ্বের ক্ষমতাধর ১০০ জন নারীর তালিকা বিশ্লেষণ করে, ২০ জন নারীর একটি তালিকা তৈরি করা হয়েছে। তাতে প্রথম অবস্থানে আছেন হিলারি। বিশ্বের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ পদে থেকে দায়িত্ব পালনের পাশাপাশি একমাত্র মেয়েকে দেখাশোনার ব্যাপারেও তিনি অনেক যত্নশীল। সকল কাজকর্ম পালনের মধ্যে দিয়েও হিলারি মায়ের দায়িত্ব পালন করে গেছেন সঠিকভাবে।

বিশ্বের সবচেয়ে ক্ষমতাধর মা নির্বাচনের ক্ষেত্রে তাদের সিদ্ধান্ত নেয়ার ক্ষমতা, অর্থ অবস্থান, বিভিন্ন ধরনের প্রভাব বিবেচনা করা হয়েছে। হিলারির পরের অবস্থানে আছেন ব্রাজিলের প্রেসিডেন্ট দিলমা রুসেফ। তার একটি মেয়ে এবং একটি নাতি রয়েছে। এ তালিকায় ভারতীয় উপমহাদেশের বেশকিছু নারীও রয়েছেন। তাদের মধ্যে রয়েছেন- ভারতের ক্ষমতাসীন কংগ্রেসের সভানেত্রী সোনিয়া গান্ধী। তালিকায় তিনি আছেন ৬ নম্বর অবস্থানে।

ভারতে অন্যতম ব্যবসা প্রতিষ্ঠান পেপসিকোর প্রধান নির্বাহী ইন্দ্রানী নুইও রয়েছেন এ তালিকায়। তার অবস্থান ৩য়। মিসেল ওবামার অবস্থান ৭ নম্বরে। এ তালিকাটি করা মূলত বিশ্বের বিভিন্ন ক্ষেত্র যথা বিনোদন, ব্যবসা, দর্শন প্রমুখ বিষয়সমূহের কথা চিন্তা করে করা হয়েছে । এ তালিকায় ৪ নম্বর অবস্থানে রয়েছেন ফেসবুকের সিও শেরিল স্যান্ডবার্গ। আই এম এফের ব্যাবস্থাপনা পরিচালক ক্রিস্টিন লগার্ড রয়েছেন ৮ নম্বর অবস্থানে।

শিকাগোর ক্রাফট ফুডসের সিইও আরিন রোজেনফেল্ড রয়েছেন ৯ নম্বর অবস্থানে। নিউইয়র্ক টাইমসের নির্বাহী সম্পাদক জিল আব্রামসন, তালিকায় তার অবস্থান ১০ম। তিনি বলেন যখন তার দুই সন্তানই ছোট সেসময় তিনি তাদের সর্বোচ্চ সময় দেবার চেষ্টা করেছেন। তারা যে বিষয়সমূহ পড়াশোনা করেছে সেসব বিষয় নিজে পড়ার মধ্যে দিয়ে তার সন্তানদের সাথে মিশে যাবার চেষ্টা করেছেন।

সংগীতশীল্পি বিয়োন্সে নোয়েলস, আর্জেন্টিনার প্রেসিডেন্ট ক্রিস্টিনা ফার্নান্দেজ, মিয়ানমারের বিরোধীদলীয় নেত্রী অং সান সুচি প্রমুখসহ আরও অনেকে রয়েছেন এ তালিকায়। এ তালিকায় অবস্থানরত বেশিরভাগ মায়েরাই স্বীকার করেছেন প্রতিষ্ঠানের শীর্ষ অবস্থানে থেকে নিজ দায়িত্ব এবং পরিবারের প্রতি মা হিসেবে সঠিক দায়িত্ব একই সাথে পালন করে যাওয়া, তাদের প্রত্যেকের জীবনের জন্য ছিল সবচেয়ে বড় পরীক্ষা। তারা মনে করেন তাদের পেশার কারণে তাদের সন্তানেরা কখনই বঞ্চিত হয়নি।

অনলাইন ডেস্ক