মঙ্গল গ্রহে মানুষ পাঠাতে মাঠে নেমেছে হল্যান্ডের বেসরকারি মহাকাশ সংস্থা মার্স ওয়ান। শুধু পাঠানো নয়, তাদের প্রত্যাশা, চার সদস্যের প্রথম দলটি মঙ্গলে স্থায়ী বসতি গড়ে তুলবে। তবে যেখানে বিশ্বের শীর্ষ মহাকাশ সংস্থা নাসাই রহস্যময় গ্রহটিতে মানুষ পাঠানো থেকে বহু দূরে, সেখানে অখ্যাত একটি প্রতিষ্ঠানের এই ঘোষণার বিশ্বাসযোগ্যতা নিয়ে সংশয় সৃষ্টি হয়েছে।
মার্স ওয়ানের প্রকল্পটি হয় ইতিহাসের এক বড় ধোঁকাবাজি, না হয় মহাকাশ ভ্রমণের সীমাকে চ্যালেঞ্জ করা এক সাহসী পদক্ষেপ হিসেবে চিহ্নিত হবে। প্রকল্পের নেতৃত্বে রয়েছেন হল্যান্ডের উদ্যোক্তা ব্যাস লানসডর্প। প্রকল্পটি বাস্তবায়নে স্পনসর ও বিনিয়োগকারী খুঁজতে একটি টেলিভিশন রিয়েলিটি শো শুরু করা হয়েছে।
মার্স ওয়ান আশা প্রকাশ করেছে, তারা আগামী ২০২৩ সালের মধ্যে মঙ্গলে প্রথম মানব বসতি স্থাপনে সক্ষম হবে। উল্লেখ্য, নাসা আগামী ২০৩৩ সালে মঙ্গলে পৌঁছানোর চেষ্টা চালাচ্ছে। মার্স ওয়ানের ঘোষণা অনুযায়ী, তাদের দলটির যাত্রা হবে একমুখী। অর্থাৎ তারা শুধু যাবে। পৃথিবীতে আর কোনো দিন ফিরে আসবে না। বাকি জীবনটা সেখানে কাটানোর অনুকূল পরিবেশ তৈরির জন্য যা যা করা দরকার তা-ই করবে তারা। আর তাদের সাহায্যার্থে দুই বছর অন্তর নতুন একটি দল সেখানে পৌঁছাবে। এভাবেই মঙ্গলে গড়ে তোলা হবে স্থায়ী মানব বসতি।
মার্স ওয়ান এক অনলাইন বিবৃতিতে তাদের প্রকল্পটির বিষয়ে ব্যাখ্যা দিয়েছে। সেখানে বলা হয়েছে, রিয়েলিটি শোর মাধ্যমে সংগৃহীত ৬০০ কোটি ডলার এ জন্য কাজে লাগানো হবে। অখ্যাত প্রতিষ্ঠান হলেও মার্স ওয়ান এমন কিছু প্রভাবশালী লোককে তাদের সমর্থক বানিয়ে ফেলেছে যে বিশ্বাসযোগ্য মনে না হলেও এখন এ প্রকল্পকে বিশ্বাস করছে অনেকেই।
অনলাইন ডেস্ক