ভালবাসা স্পর্শেও হয়, দেখেও হয়, না দেখেও হয়, চাহনিতেও হয়, প্রাপ্তিতেও হয়, হারালেও হয়। ঠিক কখন মনের শীতল জানালায় উষ্ণতার আলতো ছোঁয়া দেয় এ ভালবাসা টের পায়না কেউ-ই।

বসন্তের সদ্য ফোঁটা ফুলের সৌরভেও ভালবাসা খেলা করে, আবার শীতের ঘন কুয়াঁশায় অস্পস্ট একটি নির্ভরতার হাতকেও মনে হয় পূর্ন জোছনার অপ্সরী। দৃস্টিভঙ্গীর উপরেও ভালবাসা অনেকটা রাজত্ব করে। অর্থ, যষ, খ্যাতি, প্রতিপত্তিকে পাশ কাটিয়ে ভালবাসা হেঁটেছে সবসময় আপন গতিতে রাজার মত। এই করোনায় তাই দেশ বিদেশে দরকার মানুষে মানুষে ভালবাসা।

ব্রিটিশ রাজা এডওয়ার্ড সিংহাসনের আয়েশী জীবন ছেড়ে প্রেমিকার হাত ধরে প্রাসাদ ছেড়ে ইতিহাসের অংশ হয়ে আছেন। রাজা অনেকেই এসেছেন, কালের বিবর্তনে নাম হারিয়েও গেছে, কিন্তু রাজা অস্টম এডওয়ার্ড ভালবাসার জন্য যে নিদর্শন রেখে গেলেন, তার উপমা সর্বজনবিদিত। প্রেমিকার চুল, চোখ নিয়ে কবিতাও কম হয়নি। এলোমেলো চুল, বাঁকা চাহনির লেখা এসেছে অগনিত, পাঠক মুগ্ধ হয়ে পড়ে ডুবে যেত প্রেমিক হিসেবে নিজেকে কল্পনার তুলির আঁচড়ে।

সবই ভালবাসার পূর্নতার গল্পের সাহসিক সত্যতার জাগরনী বার্তা। আবার ভালবাসা হারিয়েও বিখ্যাত হয়ে আছেন অনেক প্রেমিক যুগল। সর্বত্রই ভালবাসার জয়জয়কার। এ যেন নিলাদ্রি জোছনায় তৃপ্ত, প্রাপ্তির মাঝে সুখ নিলয়ের পরিপূর্ন এক তরী। মুক্ত বিহঙ্গের ন্যায় ভালবাসাগুলো যখন ঘুরে বেড়ায় দুস্ট নুপুর পায়ের অলি গলিতে, তখনও এর রিনিঝিনি শব্দে বিমোহিতের সুর যেন কূর্নিশ করে পরিনয়ের আকাশ জোড়া বৃস্টি নিয়ে। সুখের বার্তায় প্রকৃতির এ হেসে ওঠায় ভালবাসা বারবার সেজেছে নবরুপে, দিয়েছে খুলে-উচ্ছল, উর্বশী যৌবনার দখিনের দুয়ার। আজও ভালবাসার রাজসিক বিচরনে পৃথিবী এক মোহময়, মাদকতায় জেগে আছে সুখের বারতা নিয়ে। এই করোনায় তাই মানুষের মাঝে যেন বয়ে যায় ভালবাসা। জয়তু হে ভালবাসা।

সৈয়দ জুয়েল
সাংবাদিক, লেখক, প্রাবন্ধিক ও বিশিষ্ট কলামিস্ট
গলওয়ে, আয়ারল্যান্ড