কবিতার বর্ণনায় পাওয়া হত দরিদ্র আসমানী যে বাস্তবেরই এক চরিত্র তার সন্ধান মেলে কবিতাটি লেখার অনেক বছর পর। হৃদরোগ আর কিডনির নানা সমস্যায় দীর্ঘদিন লড়াই করে শনিবার ভোরে তিনি মারা যান বলে তাঁর পরিবারের পক্ষ থেকে জানানো হয়। 

পল্লীকবি জসীমউদ্দীনের এই ‘আসমানী’ কবিতাটি ১৯৪৯ সাল তাঁর ‘এক পয়সার বাঁশি’ কাব্যগ্রন্থে প্রকাশিত হয়। পরবর্তীতে এই কবিতা মাধ্যমিক স্কুলের পাঠ্য বইয়েও অন্তর্ভুক্ত করা হয়।কবিতার একটি চরিত্র থেকেই ফরিদপুরের রসুলপুর গ্রামের অতি সাধারণ এই আসমানী বেগম সারা বাংলাদেশের মানুষের কাছে হয়ে উঠেছিলেন অতি পরিচিত একটি নাম।জসীমউদ্ধিনের নানা সাহিত্য কর্মে নানা চরিত্র যেমন রুপাই, সাজু, হাজেরা বিবি, গণি মিয়া এবং আসমানী। ইতোপূর্বে একে একে পৃথিবী থেকে বিদায় নিয়েছেন। সবশেষ বিদায় নিলেন আসমানী।

“কবির সৃষ্টির মধ্য দিয়ে যিনি অমরতা লাভ করেছেন, বাস্তব জীবনে তাঁর অস্তিত্ব আমাদের আলোড়িত করেছে। তাঁকে কবিতার মধ্য দিয়ে কবি আমাদের আপনজন করে তুলেছেন।”

এ বি এম ফারুক, ঢাকা।