দীর্ঘ ১৩৯ দিন কোন গণতান্ত্রিক সরকার ব্যবস্থা ছাড়াই আয়ারল্যান্ড কঠিন সময় পাড়ি দিয়েছে। কঠিন বিপদে সঠিক দিক নির্দেশনা দিয়ে লিও ভারাতকাকের নেতৃত্বে খণ্ডকালীন সরকার যেভাবে করোনা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করেছে তা সারা বিশ্বে প্রশংসা কুড়িয়েছে।

কিন্তু করোনা ভাইরাসের করাল থাবায় দেশের অর্থনীতিতে যে ক্ষত সৃষ্টি হয়েছে তা উপশমের জন্য জনগণের দ্বারা নির্বাচিত, শক্ত সামর্থ্য গণতান্ত্রিক সরকার চাই। দেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির ধারা পুনরায় ফিরিয়ে আনা, বেকার জনগোষ্ঠীর জন্য কর্মসংস্থান সৃষ্টি করা ও আবাসন সংকট নিরসন করা নতুন সরকারের জন্য অনেক বড় চ্যালেঞ্জ। পারস্পরিক সমোঝোতার ভিত্তিতে আয়ারল্যান্ডে জোট সরকার গঠনের যে আলোচনা চলছিল গতকাল ফিনে গেইল, ফিনাফল ও গ্রীন পার্টি তাদের নিজ নিজ দলের কাউন্সিলরদের ভোটে সরকার গঠনের চুড়ান্ত অনুমোদন নিশ্চিত হয়। মিহল মার্টিন নতুন জোট সরকারের তিশখ (প্রধানমন্ত্রী) হিসেবে শপথ নিচ্ছেন। কে এই মিহল মার্টিন? অসুন নতুন তিশখের সাথে পরিচিত হয়ে নেই।

মিহল মার্টিন একজন প্রতিশ্রুতিশীল রাজনীতিবিদ, তার রাজনৈতিক ইতিহাসের গৌরব উজ্জ্বল মাহেদ্রক্ষণটি আসে ২০১১ সালের মার্চে যখন তিনি ফিনাফল টিডি হিসেবে বিরোধী দলের নেতা নির্বাচিত হন।

জন্মঃ ১ লা আগস্ট ১৯৬০ (বর্তমান বয়স ৫৯বছর)
জন্মস্থানঃ কর্ক
পেশাঃ শিক্ষক/রাজনীতিবিদ
জীবন সঙ্গীঃ মেরী ও'সীয়া
অফিসঃ লিডার অব দ্যা অপোজিশন ২০১১ সাল থেকে
জনকঃ তিন সন্তানের জনক।
পুর্বের অফিসঃ মিনিস্টার অব বিজনেস, এন্টারপ্রাইজ এন্ড ইনোভেশন (২০০৪-২০০৮)
শিক্ষাজীবনঃ ইউনিভার্সিটি অব কর্ক
লেখকঃ ফ্রীডম টু চোজ - ১ কর্ক এন্ড পার্টি পলিটিক্স আয়ারল্যান্ড (১৯১৮-১৯৩২), ফ্রীডম টু চোজ - ২ দ্যা ফর্মেশন অব আইরিশ পলিটিক্যাল পার্টিস (১৯১৮-১৯৩২)

ওবায়দুর রহমান রুহেল
বার্তা সম্পাদক