ডিপার্টমেন্ট অব জাস্টিসের লিগ্যাল এইড অফিসের সামনে ক্যাহেরসিভ্যানের অধিবাসীরা জাস্টিস মিনিষ্টার চার্লি ফ্লানাগানের পদত্যাগ চেয়ে আন্দোলন করেছেন।

ক্যাহেরসিভ্যান শহরের ডিরেক্ট প্রভিশন সেন্টারের অব্যবস্থাপনা ও প্রয়োজনের তুলনায় অপ্রতুল যায়গায় করোনা পরিস্থিতিতে স্বাস্থ্যবিধি সঠিকভাবে পালন না করায় চরম বিতর্কের জন্ম দিয়েছে সেন্টারটি। কভিড-১৯ পরিস্থিতিতে শহরটির টাউন সেন্টার থেকে ১০০ মিটার দূরের স্কীলিং স্টার হোটেলকে হঠাৎ করে মার্চের মাঝামাঝি সময়ে ডিরেক্টর প্রভিশনে রুপান্তর করা হয়। এই ডিরেক্ট প্রভিশন সেন্টারে বসবাসকারী ১০০ জন শরনার্থীদের মধ্যে শিশুসহ মোট ২৫ জন করোনায় আক্রান্ত, যাদেরকে ডাবলিন থেকে এখানে স্থানান্তরিত করা হয়। ডাবলিন থেকে স্থানান্তরিত করার প্রথম দিন থেকে এসব শরণার্থীদের শরীরে কভিড-১৯ পজেটিভ ধরা পড়ে। স্থানীয় কমিউনিটিকে স্বাস্থ্যসেবা কর্তৃপক্ষ কিংবা ডিপার্টমেন্ট অব জাস্টিস থেকে এই বিষয়টি জানানো হয়নি, রোগের প্রাদুর্ভাব ছড়িয়ে পড়ার পর কমিউনিটির লোকজন জানতে পারেন।

গতকাল কিলার্নি, বালিনস্কিলিন, কাহেরসিভ্যানের অধিবাসীদের সাথে ডিরেক্টর প্রভিশন সেন্টারে বসবাসকারী ৭জন শরনার্থী সহ মোট ৮০ জন লোক বাহিরে দাঁড়িয়ে প্রতিবাদ সমাবেশ করে।

প্রতিবাদকারীরা জাস্টিস মিনিষ্টারের পদত্যাগের দাবী জানান পাশাপাশি হোটেলটি বন্ধ করে দেয়ার দাবী তুলেন, তাদের মতে হোটেলটি ডিরেক্ট প্রভিশন সেন্টার করার উপযোগী কখনোই ছিলনা। কাহেরসিভ্যান কমিউনিটি এন্ড বিজন্যাস এলায়েন্স অর্গানাইজার চেয়ারম্যান জ্যাক ফির্টয প্যাট্রিক বলেন "স্থানীয় কমিউনিটিকে কখনোই সঠিক তথ্য দেয়া হয়নি আমাদের শহরের একমাত্র হোটেলটি ডিরেক্টর প্রভিশন সেন্টারে রুপান্তরিত করার পরিকল্পনা কিংবা ডিরেক্টর প্রভিশন সেন্টার চালুর পর সেখানে ছড়িয়ে পরা করোনা ভাইরাসে সংক্রমণ, সবকিছু আড়াল করে রাখা হয়েছে, কমিউনিটির সাথে আলাপ আলোচনা করার কোন প্রয়োজনীয়তা অনুভব করেনি সরকার"। তিনি আরও বলেন, "সরকার জনসাধারণের তথ্যের অবাধ স্বাধীনতার অধিকার হরণ করেছে"।

উল্লেখ্য জাস্টিস মিনিষ্টার চার্লি ফ্লানাগানের কাহেরসিভ্যান ডিরেক্টর প্রভিশন সেন্টারের বিতর্কিত কর্মকাণ্ড নিয়ে স্থানীয় কমিউনিটির কাছে প্রকাশ্যে ক্ষমা চেয়েছেন তাতেও বরফগলেনি বরং চরম অসন্তুষ্ট স্থানীয় অধিবাসীরা এইবার জাস্টিস মিনিষ্টারের পদত্যাগের দাবীতে রাস্তায় নামলো।

ওবায়দুর রহমান রুহেল
বার্তা সম্পাদক