বেশ কিছুদিন ধরে আয়ারল্যান্ডে শরণার্থী আশ্রয় শিবিরগুলোর (Direct provision Centre) অস্বাস্থ্যকর পরিবেশ নিয়ে হিউম্যান রাইট সংগঠনগুলো খুব তৎপর ছিল, প্রশ্নের সম্মুখীন হয়েছিলেন স্বয়ং জাস্টিস মিনিষ্টার চার্লি ফ্লানাগান, অনেকেই পুরো ডাইরেক্ট প্রভিশন সিস্টেম অমানবিক ও নিষ্ঠুর বলে মন্তব্য করেছিলেন।
আয়ারল্যান্ডে করোনা ভাইরাসের সংক্রমন শুরুর পর থেকে শরণার্থীদের স্বাস্থগত সুরক্ষা নিয়ে আবারো প্রশ্ন উঠেছে। বিতর্কের ডালপালা যখন ধীরে ধীরে বিস্তৃতি লাভ করছিল ঠিক তখনই পুরো আয়ারল্যান্ড জুড়ে বিস্তার ঘটলো মহামারী কভিড-১৯ এর। যেখানে সামাজিক দূরত্ব, আত্ন নিরাপত্তার প্রশ্নে সাধারণ জনগনকে উৎসাহিত করা হয়েছে সেখানে শরণার্থী আশ্রয় শিবিরগুলোতে অনেকেই গাদাগাদি করে অল্প যায়গায় জীবন যাপন করছেন।
ইতিমধ্যে ডাবলিনের ৪ জন শরণার্থী কভিড-১৯ পজেটিভ ধরা পড়েছেন তাদেরকে ডাবলিন থেকে সরিয়ে অন্যত্র স্থানান্তরিত করা হয়েছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক কভিড-১৯ পজেটিভ শরনার্থী RTE'র সাথে টেলিফোন স্বাক্ষাতকারে বলেন, "আমরা ডাবলিনে ছিলাম আমাদেরকে একই রোমে ৪-৫ জন থাকতে বাধ্য করা হয়েছে, সবাইকে একসাথে লাইনে দাঁড়িয়ে খাবার সংগ্রহ করতে হয়েছে, একই টয়লেট অনেকের সাথে ভাগাভাগি করে ব্যবহার করতে হয়েছে।"
ওই স্বরনার্থী আরো বলেন, "আমি যখন ডাবলিন ছিলাম আমার কাজের অনুমতি ছিল, এখন সেখান থেকে চলে আসায় আমি কাজ হারিয়ে ফেললাম এবং আমাকে আবার আগের মত ঘরের বন্ধি জীবনে ফিরে আসতে হলো। খুবই দুভাগ্যজন যে এখন আমি কভিড-১৯ পজেটিভ নিয়ে আইসোলেশনে আছি।"
ওবায়দুর রহমান রুহেল
অনুবাদ করা হয়েছে আর টি ই ডট আই ই থেকে