আয়ারল্যান্ড উত্তর আটলান্টিকের উপকূলে ছোট্ট একটি দ্বীপ রাষ্ট্র। এই দেশটি ইংল্যান্ডের মূল ভূ -খন্ড থেকে আইরিশ সাগর ও সেন্ট জর্জ চ্যানেল দ্বারা বিচ্ছিন্ন।

আয়ারল্যান্ড বৃটিশ দীপপুঞ্জের দ্বিতীয় বৃহত্তম দ্বীপ, ইউরোপের তৃতীয় ও বিশ্বের বিশতম বৃহত্তম দ্বীপ। এদেশে প্রতি ৩ মাস অন্তর অন্তর ঋতু পরিবর্তন হয়, গ্রীষ্ম, শরৎ, বসন্ত ও শীত এই চারটি ঋতুই মূলত ঘুরে ফিরে আসে। একমাত্র গ্রীষ্মকাল ছাড়া বাকী ঋতুগুলোতে শীতের তীব্রতা বেশী। অধিকাংশ আইরিশরাই গ্রীষ্মকালে রৌদ্রস্নানে বেড়িয়ে পড়ে দেশে দেশে, বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান তাদের কর্মীদের জুন-আগস্ট মাসে ছুটি কাটানোর জন্য গ্রীষ্মকালীন ছুটির ভাতা প্রদান করে থাকে। বর্তমান পরিস্থিতিতে জনস্বার্থের কথা বিবেচনা করে করোনার প্রাদুর্ভাব ঠেকাতে সারা দেশ লকডাউনে রয়েছে, এদিকে বসন্তের পড়ন্ত বেলায় গ্রীষ্মের আগমনী বার্তা। অনেক আইরিশ ভ্রমণ পিপাসুদের জিজ্ঞাসুক মনে একটাই প্রশ্ন কখন লকডাউন খোলে দেয়া হবে, দ্বিধা-দ্বন্ধে আছেন এবার হলিডে কাটানো হবেতো। অনেকে আবার আগাম হলিডে বুকিংও দিয়ে রেখেছেন।

বিভিন্ন ট্যুর অপারেটরদের মনেও দেখা দিয়েছে সংশয়, অনিশ্চয়তায় কাটছে তাদের দিন। বিভিন্ন পর্যটন বিশেষজ্ঞ আগাম সতর্কবার্তা দিয়েছেন, "এরুপ অচলাবস্থা চলতে থাকলে দেশের ট্রাভেল এজেন্সিগুলো লোকসানের মুখে পড়বে।"

ইতিমধ্যে গত বছরের চেয়ে এই এপ্রিলে এয়ারলাইন্সের ফ্লাইট ৮০ ভাগ কমে গেছে। পর্যটন বিশেষজ্ঞ ইগান করি বলেন ট্রাভেল এজেন্সিগুলো স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে আসতে দুটি বিষয় নিশ্চিত করতে হবে।

  • আয়ারল্যান্ডে লকডাউন খোলে দিতে হবে।
  • দেশে দেশে ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা তুলে দিতে হবে।

উপরোক্ত দুটি বিষয় নিশ্চিত হলেই সকল ভ্রমণ পিপাসুরা আবারও ছুটি কাটাতে বেড়িয়ে পড়তে পারবেন দেশ থেকে দেশান্তরে।

ওবায়দুর রহমান রুহেল।
সূত্র কর্ক বিও