ডুনেগালের হোটেল ও গেস্ট হাউজ মালিকেরা কভিড-১৯ পরিস্থিতিতে পর্যটন শিল্পে যে নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে তার উত্তোরণে সরকারের জরুরি পদক্ষেপ কামনা করছে।
গত কয়েক সপ্তাহ ধরে সারা দেশে প্রায় ৮৫% হোটেল বন্ধ রয়েছে এবং ২ লক্ষ ৬০ হাজার কর্মীকে সাময়িকভাবে কাজ থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। আইরিশ হোটেল ফেডারেশন ডুনেগাল শাখার চেয়ারপার্সন পল ডাইভার বলেন আমরা সবাই অবগত যে দেশে স্মরণকালের ভয়াবহ স্বাস্থ্য সংকট দেখে দিয়েছে, সরকার সর্বশক্তি প্রয়োগ করে স্বাস্থ্য সেবা কর্তৃপক্ষের সক্ষমতা বাড়ানোর আপ্রাণ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন।হোটেল ফেডারেশন সরকারের পাশে আছে জরুরি পরিস্থিতিতে জনস্বার্থে ভুমিকা রাখতে আমরা বদ্ধ পরিকর।
সরকার আর্থিক প্রতিষ্ঠান থেকে ইতিমধ্যে ঋণ নিয়েছেন। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করতে সব কিছু লকডাউন করে দেয়া হয়েছে, স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে আসতে সময় লাগবে যা পর্যটন শিল্পের জন্য সৃষ্টি করেছে অনিশ্চিয়তা। দেশের মোট কর্মসংস্থানের ১১% যোগান দেয় পর্যটন খাত এরমধ্যে ৭০% লোকই কাজ করে ডাবলিনের বাহিরে যা দেশের বিস্তৃত জনগোষ্ঠীর জীবিকার একমাত্র অবলম্বন। কোভিড-১৯ মহামারী পরিস্থিতি শুরু হবার পূর্বে শুধু কাউন্টি ডুনেগালেই ৭৫০০ কর্মসংস্থান করেছে পর্যটন খাত, সরকারের রাজস্ব ভান্ডারে তুলে দিয়েছে ২৪৯ মিলিয়ন ইউরো।
দেশের অর্থনীতিতে পর্যটন খাতের অবদান কোনভাবেই অবহেলার সুযোগ নেই। পরিস্থিতি স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে আসলে আবারও এই খাতে কর্মচাঞ্চল্য ফিরে আসবে, কর্মীদের পদচারণায় মাস্কবিহীন হাসি মুখের আলাপচারিতায় কোলাহলপূর্ণ হবে প্রতিটি হোটেল ও গেস্ট হাউজ ততক্ষণ পর্যন্ত মাথা তুলে দাঁড়াবার জন্য সরকারকেই এগিয়ে আসতে হবে টিকে থাকার রসদ যোগাতে হবে। সরকারের কাছে তাই হোটেল ফেডারেশনের পক্ষ থেকে ৫ দফা দাবী পেশ করা হয়েছে:
- পানির বিল ও কাউন্সিল রেইট ১ বছরের জন্য মওকুফ করতে হবে।
- প্রতিষ্ঠানের নগদ অর্থ প্রবাহ স্থিতিশীল রাখতে বিভিন্ন সুদমুক্ত লোন সহায়তা দিতে হবে নূন্যতম ১ বৎসর কিস্তি ফ্রী সুবিধা থাকতে হবে।
- পর্যটন শিল্প ঘুরে দাঁড়ানোর আগ পর্যন্ত আগামী এক বৎসরের ভ্যাট মওকুফ করতে হবে, এক বৎসর পর ভ্যাটের হার ৯% স্থায়ীভাবে স্থির করতে হবে, PRSI ০.৫% কমাতে হবে।
- প্রতিষ্ঠানগুলোকে বাঁচিয়ে রাখতে ও পুনরায় খোলার জন্য সরকারি অনুদান প্রদান করতে হবে।
- খন্ডখালীন কর্মী যারা কভিড-১৯ ইমারজেন্সি পেমেন্টের জন্য কোয়ালিফাই হয়নি তাদেরকে সহায়তা করতে হবে।
এই দূর্যোগকালীন সময়ে সবগুলো হোটেল বন্ধ পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে আমাদের নতুন করে কর্মপন্থা বাস্তবায়ন করতে হবে তাই আমাদের দাবী দাওয়ার প্রতি সরকারের স্বল্প সময়ে সদোত্তোর কামনা করছি।
সংক্ষিপ্ত ও অনূদিত
ওবায়দুর রহমান রুহেল
তথ্যসূত্রঃ দ্যা জার্নাল আয়ারল্যান্ড