ডাবলিনের জেমন কননোলী হাসপাতালের মেডিসিন বিশেষজ্ঞ ও সিনিয়র রেজিস্ট্রার ডাঃ মোসাব্বির হোসাইন গত বৃহস্পতিবার বাংলাদেশী গণমাধ্যম "নিউজ ২৪" এর সাথে বিশ্ব করোনা পরিস্থিতি ও এর চিকিৎসা ব্যবস্থাপত্র নিয়ে কথা বলেন।

তিনি করোনা আক্রান্ত সংকটাপন্ন রোগীদের ক্ষেত্রে পরীক্ষামূলকভাবে ডেক্সামেথাসন ট্যাবলেটের ব্যবহার, প্লাজমা থেরাপি প্রয়োগসহ ব্যক্তিগত সুরক্ষা সরঞ্জাম (PPE) এর ব্যবহার নিয়ে কথা বলেন। ভাইরাসের সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে পরীক্ষার কোন বিকল্প নেই, ব্যাপক পরীক্ষার মাধ্যমে আক্রান্ত রোগীকে আইসোলেশনে রেখে কমিউনিটি সংক্রমণ রোধ করা করা সম্ভব হয়। মাত্র ৫০ লক্ষ জনসংখ্যা অধ্যুষিত আয়ারল্যান্ডে প্রতি দশ লাখে (১ মিলিয়ন) ৭৮,০৩২২ জনকে পরীক্ষা করা হয়েছে পক্ষান্তরে ১৮ কোটি জনসংখ্যার বাংলাদেশে প্রতি ১০ লাখে (১ মিলিয়ন) মাত্র ৩,৪৬৫ জনকে পরীক্ষা করা হয়েছে। বাংলাদেশে চিকিৎসা সেবা প্রদান করতে গিয়ে অনেক স্বাস্থ্যকর্মী আক্রান্ত হচ্ছেন, অনেকেই প্রাণ হারিয়েছেন এ বিষয়ে সংবাদ পাঠিকা ডাঃ মোসাব্বির হোসাইনের কাছে তার মতামত জানতে চাইলে তিনি বলেন, "পার্সোনাল সুরক্ষা সরঞ্জাম (PPE'র) ব্যবহার খুব গুরুত্বপূর্ণ, অনেক স্বাস্থ্যকর্মীই PPE ব্যবহারের কোন যথাযথ প্রশিক্ষণ পাননি তাই নিজেদের পরিধেয় সুরক্ষা বস্ত্র থেকেই নিজেরা আক্রান্ত হচ্ছেন"।

ডাঃ মোসাব্বির উদাহরণস্বরুপ বলেন বাংলাদেশের Combined Military Hospital (CMH) এর কোন স্বাস্থ্যকর্মী করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন কিংবা মৃত্যুবরণ করেছেন এরকম খবর কোথাও পাওয়া যায়নি।

ওবায়দুর রহমান রুহেল
বার্তা সম্পাদক