দীর্ঘদিন ধরে ব্যথায় ভুগছেন এমন লোকজনের দৈনন্দিন কাজ চালিয়ে যাওয়াই কঠিন। পিঠ, হাঁটু বা ঘাড়ে ব্যথাসহ যে কোনো ব্যথার কারণে সকালে বিছানা ছেড়ে ওঠা কষ্টকর হয়ে পড়ে এমন লোকের সংখ্যা কম নয়। তাদের জন্য ব্যায়ামের পরামর্শ দেন চিকিৎসকরা। ব্যায়ামের মাধ্যমে শরীরের ওজন কমাতে পারলে ব্যথা থেকে অনেকটা রেহাই পাওয়া যায়।

তবে সবার পক্ষে নিয়মিত ব্যায়াম করা সম্ভব হয়ে ওঠে না। তাই বিশেষজ্ঞরা খাদ্য তালিকার প্রতি গুরুত্ব দিচ্ছেন। অনেক খাবার আছে যা গ্রহণ করলে ব্যথা কমে। খাদ্যের ব্যাপারে একটু সচেতন হওয়াটাই অনেক সহায়ক। খাদ্যাভ্যাসে কিছুটা পরিবর্তন এনেই আমরা জীবন আরও উপভোগ্য করে তুলতে পারি। গমসহ খাদ্যশস্যের পাতলা আবরণ ফেলে না দিয়ে খাওয়াই উত্তম। খাদ্যশস্যের আবরণে সে আঁশ থাকে তা শরীরের জন্য খুব উপকারী। ম্যাগনেশিয়াম ও খনিজ সমৃদ্ধ খাদ্যশস্য ব্যথা উপশমে সহায়ক। এ ছাড়া মসলা হিসেবে ব্যবহৃত আদায় আছে ইবোপ্রফেন। এটি ব্যথা কমায়। বিশেষজ্ঞরা আদাযুক্ত চা খাওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন দীর্ঘদিন ধরেই। হলুদে আছে ব্যথানাশক চারকুমিন। আখরোট ও কাঠবাদামে আছে ওমেগা-৩ ফ্যাটি এসিড। এটিও ব্যথানাশক। স্যামন মাছেও আছে ওমেগা-৩। দই ও মাখনসহ দুগ্ধজাত খাদ্যে থাকে ক্যালসিয়াম ও ভিটামিন ডি। আঙুর ফলে আছে ব্যথানাশক অ্যাস্পিরিনের মতো উপাদান।