সন্তান প্রসবকালীন জটিলতায় প্রতিবছর বিশ্বে ১০ লাখ কিশোরী মা প্রাণ হারান। আন্তর্জাতিক স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা ‘সেভ দ্য চিলড্রেন’ নয়াদিল্লি থেকে প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে এ তথ্য দিয়েছে। প্রসবকালীন জটিলতায় ২০ বছর বয়সী মায়েদের চেয়ে ১৫ বছরের কমবয়সী মায়েদের মৃত্যুর আশঙ্কা পাঁচগুণ বেশি।
এ ছাড়া, কিশোরী মায়েরা যেসব সন্তানের জন্ম দেন তারা অনেক বেশি ঝুঁকিতে থাকেন বলে এ প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে। এতে আরো বলা হয়েছে, বিশ্বে প্রতিবছর কিশোরী মায়েদের সঙ্গে ১০ লাখ শিশুও অকালে মারা যায়।
ভারত সম্পর্কে এ প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, প্রতি এক হাজার জীবিত শিশুর জন্মের সময় ৭৭ জন মারা যায়। অন্যদিকে, ভারতে জন্মকালীন শিশু মৃত্যুর হার প্রতি এক হাজারে ৪৪ জন বলে ভারতীয় পরিবার স্বাস্থ্য বিষয়ক জরিপ এনএফএইচএস -৩’এ উল্লেখ করা হয়েছে। ভারতীয় পরিবার স্বাস্থ্য বিষয়ক জরিপের উল্লেখ করে সেভ দ্য চিলড্রেনের প্রতিবেদনে আরো বলা হয়, দেশটিতে প্রসবকালীন মাতৃ-মৃত্যুহার এখনো অনেক বেশি। এতে বলা হয়েছে, ভারতে প্রতি এক লাখ শিশু জন্মের সময় ২৫৪ জন মা মারা যায়।
বিশ্বের অনেক দেশেই অল্প বয়সে মেয়ের বিয়ে দেয়া এবং গর্ভবতী হওয়া স্বাভাবিক বিষয়। বিশ্বে প্রতিবছর ১৮ বছরের কম বয়সী এক কোটি মেয়ের বিয়ে হয়। অর্থাত প্রতিদিন এ রকম ২৫ হাজার বিয়ের ঘটনা ঘটছে বিশ্বে। মায়ের বয়স ১৮’র নিচে হলে শিশুর মৃত্যুর আশঙ্কা তুলনামূলকভাবে ৬০ শতাংশের বেশি থাকে। সেভ দ্য চিলড্রেনের ভারতীয় প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা টমাস চান্ডি এ কথা জানান। এ প্রতিবেদনে আরো বলা হয়, উন্নত বিশ্বে প্রসবকালীন জটিলতায় প্রতি তিন হাজার আটশ’র মধ্যে একজন ১৫ বছর বয়সী মা মারা যান। কিন্তু উন্নয়নশীল বিশ্বে প্রতি দেড়শ’ জনের মধ্যে একজন মা প্রাণ হারান।
অনলাইন ডেস্ক