স্বর্গে হঠাৎ করে একটু ভীড় বেড়ে যাওয়ায় যমরাজ দ্বারে দাড়িয়ে নিজেই বেছে বেছে সবাইকে ঢোকাতে শুরু করলেন। যে-ই আসছে তাকে প্রথমে বলছেন, তুমি কি করে মারা গিয়েছো সেটা বর্ননা করো। ঘটনার বর্ননা যদি ভয়াবহ হয় তাহলেই কেবল ঢোকার সুযোগ মিলছে।
এরকম সময়ে প্রায় একই সাথে স্বর্গের দ্বারে এসে দাড়ালো তিন ব্যক্তি। একজন ইংলিশ, একজন স্কটিশ এবং আরেকজন আইরিশ। যমরাজ প্রথমে ইংলিশ ভদ্রলোককে তার মৃত্যুর কারন জিজ্ঞেস করলেন। ভদ্রলোক বলল, আমি গত কিছুদিন ধরে আমার স্ত্রীকে সন্দেহ করছিলাম। আমি মোটামোটি নিশ্চিত ছিলাম ওর অন্য কারো সাথে সম্পর্ক রয়েছে। তাই আজ একটু আগে-আগেই অফিস থেকে বাড়ি ফিরি ওদের হাতেনাতে ধরার জন্য। বাড়ি ফিরে আমার স্ত্রীকে আমি এলোমেলো অবস্থায় বিছানায় পেলাম কিন্তু ওই রাস্কেলটাকে কোথাও খুজেঁ পেলাম না।
সারা বাড়ি তন্নতন্ন করে খুঁজেও যখন আমি কোথাও পেলাম না, তখন গেলাম বারান্দায় এবং আমার অনুমান সত্য প্রমানিত করে তাকে আমি আমার ২৫ তালার এ্যাপার্টমেন্টের রেলিং ধরে ঝুলে থাকতে দেখলাম। রাগে আমি তখন প্রায় অন্ধ হয়ে গিয়েছি। আমি তার হাতে লাথি দিতে শুরু করলাম এবং এক সময় সে নিয়ন্ত্রন হারিয়ে উপর থেকে নীচে পড়ে গেলো। কিন্তু রাস্কেলটা তবুও মরলো না। সে একটা ঝোপের উপর পড়ায় বেঁচে গেলো। আমি তখন কিচেনে গিয়ে আমাদের ফ্রিজটা এনে ২৫ তালা থেকে তার উপর ছুড়ে ফেললাম এবং সাথে সাথে সে মারা গেলো। পুরো ব্যপারটা দেখে হঠাৎ করে আমি ভীত হয়ে পড়লাম এবং হার্ট এ্যাটাকে আমার মৃত্যু হলো। যমরাজ দেখলেন ভয়াবহ অভিজ্ঞতার পর মৃত্যু। তাই তাকে ঢুকতে দিলেন।
এবার স্কটিশ ভদ্রলোক এগিয়ে এলো এবং তার বর্ননা শুরু করলো। সে বললো, আমি প্রতিদিন আমার এ্যাপার্টমেন্টের ২৬ তালার বারান্দায় ব্যয়াম করি। আজ হঠাৎ করে পা পিছলে পড়ে গেলাম, কিন্তু ভাগ্য ভালো ছিল, তাই ২৫ তালার রেলিং ধরে ফেলেছিলাম। কিন্তু হঠাৎ এক লোক এসে আমাকে লাথি দিতে শুরু করলো এবং এক সময় আমি নীচে পড়ে গেলাম। এবারও ভাগ্য ভালো ছিল, আমি ঝোপের উপর পড়লাম ফলে খুব একটা সমস্যা হয়নি। কিন্তু হঠাৎ করে দেখি আকাশ থেকে একটা ফ্রিজ এসে আমার উপর পড়লো। সাথেসাথেই আমার মৃত্যু হয়। করুন মৃত্যুর কথা শুনে যমরাজ তাকেও ঢুকতে দিল।
এবার আইরিশ ভদ্রলোক এগিয়ে এসে যমরাজকে বললো, শুধু কল্পনা করুন, একটা ফ্রিজে আমি নগ্ন ভাবে লুকিয়ে আছি....। যমরাজ সাথে সাথে তাকেও স্বর্গে ঢোকার জন্য ইশারা করলেন।
অনলাইন ডেস্ক