ইউরোপে আসার নানা পদ্ধতির মধ্যে ভুয়া কাগজ পত্রের মাধ্যমে ছাত্র সেজে আসা হচ্ছে অন্যতম সহজ পদ্ধতি। অনেক সময় ভুয়া এসব ছাত্রদের জন্য সাধারণ এবং প্রকৃত ছাত্র-ছাত্রীদের পড়তে হয় নানা ঝক্কি-ঝামেলায়।
জানা গেছে, ব্রিটেনে অন্য দেশ থেকে পড়তে আসা ভুয়া ছাত্রের সংখ্যা উদ্বেগজনক হারে বাড়ছে। শুধু মাত্র ভারত থেকে ব্রিটেনে যেসব ছাত্র গেছে তাদের ৫৯ শতাংশই ভুয়া এবং ২০১১ সালে ব্রিটেনে ৬৩ হাজার ভুয়া ছাত্র ঢুকেছে।ব্রিটেনের মাইগ্রেশন ওয়াচ এক সমীক্ষায় এ তথ্য প্রকাশ করেছে। ব্রিটেনের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পাইলট প্রকল্পের প্রাপ্ত ফলাফলের ভিত্তিতে এ দাবি করেছে মাইগ্রেশন ওয়াচ।
প্রতিবেদনে আরো বলা হয়েছে, ভুয়া ছাত্রদের তালিকার শীর্ষে রয়েছে মিয়ানমার এবং দেশটির ৬২ শতাংশ ছাত্রই ভুয়া বলে এ হিসাবে দেখা গেছে। এ হিসাব মোতাবেক- মিয়ানমারের পরই স্থান করে নিয়েছে ভারত, বাংলাদেশ এবং নাইজেরিয়া।
পাইলট প্রকল্প অনুযায়ী, ছাত্র-ভিসার আবেদনকারীরা যথার্থ ছাত্র কিনা তা যাচাইয়ের জন্য সাক্ষাতকার ও দু'টি পরীক্ষা নেয়া হয়। এর মাধ্যমে যাচাই করা হয়েছে- আবেদনকারী যথার্থই ছাত্র কিনা এবং লেখাপড়া শেষে সত্যিই তারা দেশে ফিরতে চায় কিনা।
বিশ্বাসযোগ্যতা যাচাই করে যেসব ছাত্রকে ভিসা দেয়া হয়নি তাদের সংখ্যা ৬৩ হাজার। এদের মধ্যে ৬১ শতাংশই বেসরকারি কলেজে ভর্তির জন্য আবেদন করেছে; ১৭ শতাংশ সরকারি কলেজ এবং ১৪ শতাংশ আবেদন করেছে বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য। ব্রিটিশ স্বরাষ্ট্র দফতর এখন থেকে প্রতি বছর ১০ হাজার ছাত্রের সাক্ষাতকার নেয়ার পরিকল্পনা করেছে।
অনলাইন ডেস্ক