বহির্বিশ্বে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল করে স্বমহিমায়, স্বগৌরবে যারা নিজেদের কর্তব্য আর দায়িত্বে অবিচল থেকে স্থানীয় কমিউনিটিতে অসামান্য অবদান রেখে যাচ্ছেন ডাঃ মুসাব্বির হোসাইন তাদের মধ্যে অন্যতম।
ডাবলিনের জেমস কনোলি হাসপাতালের সিনিয়র রেজিস্ট্রার মেডিসিন বিশেষজ্ঞ ও স্ট্রোক বিষয়ে উচ্চতর ডিগ্রিধারী ডাঃ মুসাব্বির হোসাইন আয়ারল্যান্ডের করোনা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে তাঁর চিকিৎসক সহকর্মী ও নার্সদের নিয়ে সামনে থেকে নেতৃত্ব দিচ্ছেন। তাঁর এই অসামান্য অবদানে গৌরবান্বিত হয়েছেন আয়ারল্যান্ডে বসবাসরত বাংলাদেশী কমিউনিটি। কঠিন পরিস্থিতিতে নিজের জীবনের ঝুঁকি নিয়ে প্রতিনিয়ত ছুটে যাচ্ছেন মুমূর্ষু রোগীর পাশে, পাশাপাশি কমিউনিটির মানুষের মধ্যে সচেতনতা বৃদ্ধির জন্য সোশাল মিডিয়ায় বহুমুখী প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছেন। বাংলাদেশের মূলধারার টিভি চ্যানেলগুলো বিশ্ব করোনা পরিস্থিতি পর্যালোচনা শীর্ষক আলোচনা পর্বে বহুবার এই গুণী ব্যক্তির সাক্ষাৎকার নিয়েছে। জনাব মুসাব্বির হোসাইনও শত কর্মব্যস্ততার মাঝে সময় করে এসব টকশো ও টিভি চ্যানেলের নিউজে সাক্ষাৎকার দিয়েছেন, উদ্দেশ্য একটাই নিজের অভিজ্ঞতালব্ধ তথ্য ও পরামর্শ স্বদেশী মিডিয়ার ছড়িয়ে দিয়ে জনসচেতনতা সৃষ্টি করা।
এন টিভি, এটি এন বাংলা, চ্যানেল আই, চ্যানেল টুয়েন্টি ফোরসহ বিভিন্ন মিডিয়ায় তার দেয়া তথ্য ও পরামর্শগুলো ব্যাপক প্রশংসিত হয়েছে।সম্প্রতি যুক্তরাজ্য এবং আয়ারল্যান্ডে অবস্থিত বিশিষ্ট বাংলাদেশী ব্যক্তিবর্গদের অংশগ্রহণে এবং আর জে সুমাইয়ার উপস্থাপনা ও মোহাম্মদ সাইফুল ইসলামের (ইউকে প্রতিনিধি, রেডিও টুডে) সঞ্চালনায় বিশেষ আয়োজন প্রবাস এফ এম নামক অনুষ্ঠানটিতে অংশগ্রহণ করে তিনি আয়ারল্যান্ডের করোনা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে সম্মুখ সারির সৈনিক সকল চিকিৎসক, মেডিক্যাল হেলথ কেয়ার এসিস্ট্যান্ট, ও ফিজিও থেরাপিস্টদের প্রশংসা করেছেন। সবার সম্মিলিত প্রচেষ্টায় আয়ারল্যান্ডের করোনা ভাইরাস নিয়ন্ত্রণে নিয়ে আসা সম্ভব হয়েছে। বাংলাদেশী কমিউনিটিসহ আয়ারল্যান্ডে বসবাসরত সবাইকে করোনার প্রাদুর্ভাব ঠেকাতে সরকারের নেয়া বিভিন্ন পদক্ষেপের সহযোগিতা করার জন্যও ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন। উক্ত আলোচনা অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ডাঃ মনজুর শওকত (ক্লিনিক্যাল লেকচারার, ইম্পেরিয়াল কলেজ, লন্ডন), প্রফেসর ওসামা খান (প্রো-ভাইস চ্যান্সলর, ইউনিভার্সিটি অফ সারেহ)।
আলোচনায় অতিথিবৃন্দ করোনাভাইরাস, ভ্যাকসিন এবং এর ভয়াল প্রভাবের সার্বিক বিশ্লেষনধর্মী বিষয়গুলো উল্লেখ করেন।
ওবায়দুর রহমান রুহেল
বার্তা সম্পাদক