লকডাউনে ঘর থেকে প্রয়োজন ছাড়া খুব কম মানুষই বের হন। তবে নিম্নবিত্তদের প্রয়োজনটা একটু বেশী-ই বোধহয়। একদিনের খাবার শেষ হওয়ার আগেই পরবর্তী দিনের খাবার জোগারে বের হতে হয় শ্রমজীবী মানুষদের। করোনায় আক্রান্তের ভয় থাকলেও ক্ষুধার কাছে সে ভয় হারিয়ে যায় দ্রুতই।

জীবন সংগ্রামে যুদ্ধ করা এ মানুষগুলোর কস্ট লাঘবে একটু সাহায্যেের হাত বাড়িয়ে দিয়েছে আইরিশ বাংলা প্রেসক্লাব।

প্রবাসে যারা থাকেন, দেশের যে কোন দূর্যোগে পাশে থাকার চেস্টা করেন অধিকাংশ সময়ই। এবারও তার ব্যাতিক্রম নয়। আইরিশ বাংলা প্রেসক্লাবের সদস্যরা একটি মানবিক আবেদন জানালে- অনেকেই সে আবেদনে সাড়া দিয়েছেন। আর তারই ধারাবাহিকতায় ঢাকার মিরপুর শেওড়া পাড়ায় দ্বিতীয় ধাপে শ্রমজীবী মানুষের মাঝে বিসিএফডিএফের অক্লান্তে পরিশ্রমে খাদ্য উপহার দিতে সক্ষম হয়েছে সংগঠনটি।

টাকা উঠানোর পরে দরকার ছিল একটি সুষ্ঠ বন্টনের, এই বন্টনে খাদ্য দ্রব্য ক্রয় থেকে শুরু করে বিতরণ পর্যন্ত কাজটি অত্যান্ত দক্ষতার সাথে করেছেন বিসিএফডিএফ। এই সংগঠনটি ১৯৯৮ সাল থেকে পথ শিশুদের ও যে কোন দূর্যোগে অসহায়দের সহায়তা করে ঈর্ষনীয় সুনাম কুড়িয়েছেন। বিসিএফডিএফের সুবিধা বঞ্চিত শিশুদের শিক্ষাদানে একটি স্কুলও প্রতিষ্ঠা করেছেন বর্নমালা নামে। এই প্রতিষ্ঠানটির মাধ্যমে দুস্থদের মাঝে খাদ্য সামগ্রী বিতরন করতে পেরে আইরিশ বাংলা প্রেসক্লাবের সদস্যরাও গর্বিত। পুরো তদারকির কাজে সাখাওয়াত হোসেন (রিমন) ও মহিউদ্দিন আলম (শিমুল) ছাড়াও আরো বেশ কিছু আলোকিত মানুষ এগিয়ে এসেছেন এ মহতী কাজে।

আজ তৃতীয় ধাপে আবারও শুরু হবে খাদ্য সামগ্রী বিতরনের কাজ। আয়ারল্যান্ডে বসবাসরত যে সকল বাঙ্গালীরা প্রেসক্লাবের এ উদ্যোগে আর্থিক সহায়তা করেছেন, তাদেরকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন আইরিশ বাংলা প্রেসক্লাব। আগামী দিনগুলোতেও বাংলাদেশের যে কোন দূর্যোগে আইরিশ বাংলা প্রেসক্লাব সহায়তার হাত বাড়িয়ে দেয়ার দৃঢ় প্রত্যয় ব্যাক্ত করেন।

সৈয়দ জুয়েল
সময় টিভি প্রতিনিধি