ঈদ মানে আনন্দ। ঈদ মানে ভালোবাসা বন্ধনের নবায়ন। এক মাস সিয়াম সাধনার পর সুশৃঙ্খল আচরণের কঠিন ব্রত শেষে যে দিনটির অপেক্ষায় আমরা থাকি সেটি হলো আমাদের ঈদুল ফিতর। ঈদ আসে আত্মশুদ্ধির সীমানা পেরিয়ে, সামষ্টিক কল্যাণ ও সচেতনতার মোহনা অতিক্রম করে।

ব্যক্তির ঊর্ধ্বে যে সমাজ, এমন কী সমাজের সঙ্কীর্ণ গণ্ডি পেরিয়ে যে বিশ্ব সমাজ বা উম্মাহ, তার সুখ-দুঃখের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট হয়েই আসে ঈদ। তাই ঈদের আনন্দে নেই ব্যক্তিগত উচ্ছ্বাস। নেই বাঁধন ছাড়া গতি। নেই কোনো অসংলগ্ন ছন্দ। ঈদ একদিকে যেমন আনন্দঘন উৎসব, তেমনি সকলকে সঙ্গে নিয়ে আনন্দমুখর অনুষ্ঠান এ উৎসবে থাকে কর্তব্যের মৃদুভারও। ঈদের খুশিকে এই আলোকে দেখা হয় সন্তুষ্টির মুহুর্ত রূপে। দেখা হয় পরম করুণাময়ের প্রতি কৃতজ্ঞতার মুহুর্ত রূপে। এ কারণে ঈদের আনন্দ এত গভীর, এত সার্বজনীন, এত সামষ্টিক। গত ১৯ আগষ্ট সুদুর প্রবাস আয়ারল্যান্ডে উদযাপিত হলো ঈদুল ফিতর। এবারে ঈদে আয়ারল্যান্ডে সর্ব বৃহৎ ঈদের জামাত হয় সকাল ১০টায় ইসলামিক কালচারাল সেন্টার আয়ারল্যান্ড, ক্লোনস্কিতে। প্রবাসী বাংলাদেশীদের সবচেয়ে বড় ঈদের জামাত হয় ডাবলিন মুসলিম সেন্টরের উদ্দ্যেগে সকাল ৯ টায় এডামস টাউন প্রাইমরী স্কুলে। ডাবলিন মসজিদে প্রথম জামাত হয় সকাল ৮:৩০ এবং দ্বিতীয় জামাত হয় সকাল ৯:৩০। বারী মসজিদে, সকাল ৯:৩০, সিটি মসজিদ, সকাল ১১:০০, সোর্ডস মসজিদ, স্থান: রিভার ভ্যালি কমিউনিটি সেন্টার, সকাল ৯:৩০। এছাড়া কর্ক, গলওয়ে, লিমেরিক, কেরী, কিলকেনী, স্লাইগো, ওয়াটারফোর্ড সহ আয়ারল্যান্ডের বিভিন্ন স্থানে ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হয়। নামাজ শেষে সঙ্কট থেকে দেশ ও জাতিকে মুক্তি, মুসলিম উম্মাহর শান্তি ও কল্যাণ কামনায় মহান আল্লাহর দরবারে আকুতি ও মোনাজাত  করা হয়।

এ, কে, আজাদ – বার্তা সম্পাদক