পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডা. এ কে আবদুল মোমেন বলেছেন, কুয়েত কর্তৃপক্ষ কূটনীতিক বা সরকারী পাসপোর্ট ব্যবহার না করে সেখানে সফরকালে ‘স্থানীয় অধিবাসী’ হিসাবে মানি লন্ডারিং ও মানব পাচারের অভিযোগে সংসদ সদস্য মোহাম্মদ শহীদ ইসলাম পাপুলকে আটক করেছে।
তারা (কুয়েতি কর্তৃপক্ষ) তাকে (শহীদ) গ্রেফতার করেছে বাংলাদেশের সংসদ সদস্য হিসেবে নয়, বরং একজন কুয়েতি ব্যবসায়ী হিসেবে। কারণ তিনি প্রায় তিন দশক ধরে সেখানে ব্যবসা করছেন। লক্ষ্মীপুরের একটি আসন থেকে নির্বাচিত সংসদ সদস্য শহীদের অবস্থান সম্পর্কে মন্তব্য করার সময় তিনি আজ এ কথা বলেন। মোমেন বলেন, দেড় মাস আগে মানব পাচার ও অর্থ পাচারের অভিযোগে কুয়েতে তাকে গ্রেফতার করা সত্ত্বেও কুয়েত আনুষ্ঠানিকভাবে পাপুলের অবস্থা সম্পর্কে বাংলাদেশকে অবহিত করেনি। তবে আমরা বাংলাদেশে নিযুক্ত কুয়েতের রাষ্ট্রদূতকে আনুষ্ঠানিকভাবে বিষয়টি জানানোর জন্য বলেছি। তিনি বলেন, যদি কুয়েত সরকার আনুষ্ঠানিকভাবে বাংলাদেশ সরকারকে শহীদের বিরুদ্ধে অভিযোগ অবহিত করে, তখন আমাদের আইন অনুসারে পদক্ষেপ নেয়া হবে। তিনি আরও বলেন, এই ধরনের অপরাধমূলক অভিযোগের সঙ্গে জড়িত থাকলে বাংলাদেশ কাউকে ছাড় দেয় না।
মোমেন বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা অর্থ পাচার ও মানব পাচারের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স দেখিয়েছেন। তারা (অর্থ পাচারকারী ও পাচারকারী) যে দলেরই হোক না কেন, তারা আওয়ামী লীগের হলেও শাস্তি নিশ্চিত। মোমেন জানান, শহীদ লক্ষ্মীপুর-২ আসন থেকে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসাবে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন। কুয়েতের ফৌজদারি তদন্ত বিভাগ ৬ জুন শহীদকে গ্রেফতার করে। আরব টাইমসের সংবাদ অনুসারে, শহীদ কারও কাছ থেকে কোনও অর্থ নেওয়ার বিষয়টি অস্বীকার করে এবং কুয়েতের পাবলিক প্রসিকিউশনকে বলেছিল তিনি তার দেশবাসীকে জীবিকা নির্বাহে সহায়তা করছেন। তবে কুয়েতের পাবলিক প্রসিকিউশন আরও তদন্ত না হওয়া পর্যন্ত তাকে আটক রাখার নির্দেশ দিয়েছে। এরই মধ্যে দুদক মানব পাচারের মাধ্যমে ১ হাজার ৪ শ’ কোটি টাকা আয় করার অভিযোগে তার বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু করেছে।
দুদক জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) কাছে শহীদ ও তার পরিবারের সদস্যদের আয়কর নথি চেয়েছে এবং নির্বাচন কমিশনকে শহীদ ও সংরক্ষিত মহিলা আসনের সংসদ সদস্য তার স্ত্রী সেলিনা ইসলামের নির্বাচনী হলফনামা জমা দেয়ার জন্য বলেছে।