বাংলাদেশ ট্রেনের টিকিট এখন অনলাইনে: রেলগাড়িতে যাতায়াতের কথা ভাবতেই এর টিকিটের দুষ্প্রাপ্যতার কথা মাথায় আসে। অনেক সময় দীর্ঘ লাইনে দাঁড়িয়ে থেকেও টিকিটের সন্ধান মেলে না। তার সঙ্গে যুক্ত হয়েছে টিকিট কালোবাজারিদের দৌরাত্ম্য। এসব সংকটের কথা চিন্তা করে বাংলাদেশ রেলওয়ে প্রযুক্তিনির্ভর টিকিটিং ব্যবস্থা চালু করেছে।
প্রথমে মুঠোফোনে চালু হওয়া এ টিকিটিং ব্যবস্থার সঙ্গে যোগ হলো ইন্টারনেটকেন্দ্রিক ক্রয়ব্যবস্থা। নিবন্ধন: বাংলাদেশ রেলওয়ের ওয়েবসাইটে (www.railway.gov.bd) গিয়ে বাঁয়ে নিচে ‘পারচেজ ই-টিকিট’ লিংকে ক্লিক করলে নিবন্ধনের জন্য একটি পেইজ আসবে। পেইজটি সাধারণ তথ্য দিয়ে সঠিকভাবে পূরণ করতে হবে। এর মাধ্যমে আপনি নিবন্ধিত হবেন। প্রাথমিক নিবন্ধন শেষে আপনার ই-মেইল ঠিকানায় নিশ্চয়তা মেইল যাবে। তারপর টিকিট ক্রয়ের জন্য আবেদন করতে পারবেন। একবার নিবন্ধন করলে আপনার ব্যবহারিক নাম (যে নামে নিবন্ধন করেছেন) এবং গোপন নম্বর মনে রাখা সাপেক্ষে তা পুনর্বার ব্যবহার করা যাবে।
এ বিষয়ে রেলওয়ের উপপরিচালক মো: মাহবুবুর রহমান বলেন, ২৯ মে ই-টিকিটিং ব্যবস্থা চালু হওয়ার পর থেকে প্রায় ১০ হাজার জন এতে নিবন্ধন করেছেন। এটা একটা চলমান প্রক্রিয়া, যাতে সেবা গ্রহণকারীর সংখ্যা দিন দিন বাড়ছে।
যা থাকতে হবে: আপনার ই-ব্যাংকিং সেবা প্রদানকারী যেকোনো ব্যাংকের ভিসা বা মাস্টারকার্ড-সমর্থিত ডেবিট বা ক্রেডিট কার্ড থাকতে হবে।
প্রাসঙ্গিক কথা: আপনার যাত্রার জন্য সুনির্দিষ্ট ট্রেনের আসন খালি থাকা সাপেক্ষে আবেদন গ্রহণ করা হবে। যাত্রার নির্দিষ্ট তারিখ থেকে তিন দিন আগে টিকিটের জন্য আবেদন করা যাবে। একজন অর্থাৎ একটি হিসাব থেকে সর্বোচ্চ চারটি আসনের টিকিটের জন্য আবেদন করা যাবে। আবেদন গৃহীত হলে একটি নিশ্চয়তা মেইল আসবে। মেইলটি প্রিন্ট করে যাত্রার আগে স্টেশনে ই-বুথে প্রদর্শন করে মূল টিকিট সংগ্রহ করতে হবে। ইন্টারনেটে সংগৃহীত টিকিটের ক্ষেত্রে আসনপ্রতি অতিরিক্ত ২০ টাকা সার্ভিস চার্জ দিতে হবে।
যেসব স্টেশনে ই-বুথ: ই-বুথ নিয়ে রেলের উপনির্দেশক বলেন, প্রাথমিকভাবে স্বল্পপরিসরে ইন্টারনেটে রেলের টিকিট সেবা চালু করা হয়েছে, যা আস্তে আস্তে সহজ এবং বিস্তৃত করা হবে। বর্তমানে ঢাকার কমলাপুর ও বিমানবন্দর, রাজশাহী এবং চট্টগ্রাম স্টেশনে ই-টিকেটিং সেবা দেওয়ার জন্য বুথ রয়েছে, যা পর্যায়ক্রমে বাড়ানো হবে।