মন্ত্রী ইমরান আহমদঃ প্রবাসীদের খাদ্য ও চিকিৎসা সহায়তার জন্য প্রথম ধাপে প্রায় পাঁচ কোটি টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। বিদেশে বাংলাদেশের ২৪ টি দূতাবাস ও হাইকমিশনে এই অর্থ বরাদ্দ দেয়া হয়েছে।
দূতাবাসের চাহিদার ভিত্তিতে এই টাকা দেয়া হচ্ছে বলে জানিয়েছেন প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রী ইমরান আহমদ।
প্রবাস বার্তাকে তিনি জানান, "প্রবাসীদের কেউ যেনো খাবার কষ্টে না থাকে, সেজন্য মন্ত্রণালয় সব ধরণের ব্যবস্থা নিচ্ছে। প্রবাসীদের কল্যাণের জন্যই এই মন্ত্রণালয় কাজ করছে। বিশ্বের যেসকল দেশে প্রবাসীরা খাবার সমস্যায় আছে, সেখানেই সহায়তা পাঠানো হচ্ছে।"
মন্ত্রণালয় থেকে জানা গেছে, প্রথম ধাপে দূতাবাসের চাহিদার ভিত্তিতে ২৪ টি দূতাবাস ও হাইকমিশনে এই অর্থ বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। এরমধ্যে লেবাননে- ১৭ লাখ, ফ্রান্সে-২০ লাখ, রিয়াদে- ৪০ লাখ, কুয়েতে -২৫ লাখ, মালয়েশিয়া ৪০- লাখ, লিবিয়া- ১০ লাখ, হংকং- ১০ লাখ, জেদ্দা- ৪০ লাখ, মালদ্বীপ- ১৫ লাখ, মিলান- ১০ লাখ, ব্রুনাই- ২৫ লাখ, বাহরাইন- ২০ লাখ টাকা, দুবাই- ২০ লাখ, জর্ডান- ৩০ লাখ টাকা, গ্রীস -২০ লাখ টাকা, কাতার- ৫ লাখ টাকা, ওমান- ২০ লাখ টাকা, ইরাক- ৪ লাখ ২৫ হাজার টাকা, রোম- ২৫ লাখ টাকা, আবুধাবি- ২০ লাখ টাকা, থাইল্যান্ড- ৮ লাখ টাকা, পর্তুগাল – ১০ লাখ টাকা, সিঙ্গাপুর- ৩০ লাখ টাকা, স্পেন- ১০ লাখ টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়েছে।
মন্ত্রী ইমরান আহমদ বলেন, "যেসকল দেশে বাংলাদেশিরা রয়েছে, সেখানে করোনাভাইরাসের প্রভাবে নানা সমস্যায় পড়েছেন প্রবাসীরা। কাজ বন্ধ থাকায় বেকার রয়েছেন লাখ লাখ প্রবাসী। অনেক দেশে খাদ্য সমস্যায় আছেন প্রবাসীরা। তাই দূতাবাসের চাহিদার ভিত্তিতে মন্ত্রণালয় থেকে যৌক্তিক অর্থ বরাদ্দ দেয়া হচ্ছে।"
খাদ্য সহায়তার স্বচ্ছতা কিভাবে নিশ্চিত করছেন- এমন প্রশ্নে প্রবাসী কল্যাণমন্ত্রী বলেন, "প্রবাসে বাংলাদেশিদের যেকোন বিষয়ে দূতাবাসের ওপরই নির্ভর করতে হয়। তবে কোথাও যদি অনিয়ম হয়, সেটা আপনারা সাংবাদিক হিসেবে তুলে ধরতে পারেন। অনিয়মের বিষয়েও দেখা হবে।"
প্রবাসী কল্যাণমন্ত্রী বলেন, "প্রবাসীদের খাদ্য ও চিকিৎসা সহায়তার জন্য প্রয়োজনে আরও অর্থ বরাদ্দ দেয়া হবে। একইসাথে প্রবাসে বিত্তবানরাও এসময় নিজের অবস্থান করা এলাকায় এগিয়ে আসতে পারেন। এতে করে প্রবাসের প্রত্যন্ত অঞ্চলেও খাদ্য সংকটে থাকারা সহায়তা পারেন।"
মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, এরই মধ্যে কয়েকটি দেশ থেকে বাংলাদেশ দূতাবাস আরও অর্থ চেয়ে মন্ত্রণালয়ে চিঠি দিয়েছে। এরমধ্যে মালয়েশিয়ায় বাংলাদেশ হাইকমিশন আগের ৪০ লাখের সাথে আরও প্রায় দেড় কোটি টাকা চেয়েছে।
অনলাইন ডেস্ক