খ্যাতিমান সাংবাদিক দৈনিক আমার দেশের উপদেষ্টা সম্পাদক আতাউস সামাদ আর নেই (ইন্না লিল্লাহে ওয়া ইন্না ইলাইহে রাজিউন)। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৭৪ বছর।

বুধবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে দিকে রাজধানীর অ্যাপোলো হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। প্রখ্যাত এই সাংবাদিক ও কলামিস্টের মৃত্যুতে বাংলাদেশের গণমাধ্যম অঙ্গনে শোকের ছায়া নেমে এসেছে।তার মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়লে সর্বস্তরের সাংবাদিকরা হাসপাতালে ভিড় করে। গত রোববার সাংবাদিক আতাউস সামাদের শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে তাকে অ্যাপেলো হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। মঙ্গলবার দীর্ঘ সময় ধরে অস্ত্রোপচার করে তার বাঁ পা হাঁটু থেকে কেটে ফেলে দেয়া হয়। অস্ত্রোপচারের পর থেকেই সংজ্ঞাহীন ছিলেন আতাউস সামাদ। তাকে পোস্ট অপারেটিভ কক্ষে লাইফ সাপোর্ট দিয়ে রাখা হয়েছিল। বুধবারও তাকে ১০ ব্যাগ রক্ত দেয়া হয়। দৈনিক আমার দেশের উপদেষ্টা সম্পাদক আতাউস সামাদ দীর্ঘ সময় বিবিসির বাংলাদেশ সংবাদদাতা ছিলেন। বেসরকারি টেলিভিশন এনটিভির প্রধান নির্বাহীর দায়িত্বও পালন করেছেন তিনি।

এছাড়া দীর্ঘ সময় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের খণ্ডকালীন শিক্ষক ছিলেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতকোত্তর ডিগ্রিলাভের পর ১৯৫৯ সালে সাংবাদিকতা শুরু করেন আতাউস সামাদ। বর্ণাঢ্য জীবনের অধিকারী এই সাংবাদিক ১৯৬৯ ও ১৯৭০ সালে পূর্ব পাকিস্তান ইউনিয়ন অব জার্নালিস্টের (ইপিইউজে) সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। আতাউস সামাদ ১৯৬৫ সাল থেকে ১৯৬৯ সাল পর্যন্ত পাকিস্তান অবজারভারের চিফ রিপোর্টারের দায়িত্ব পালন করেন। ১৯৭২ থেকে ১৯৭৬ সাল পর্যন্ত তিনি নয়াদিল্লিতে বাংলাদেশ সংবাদ সংস্থার (বাসস) বিশেষ সংবাদদাতার দায়িত্ব পালন করেন। এ ছাড়া ১৯৮২ সাল থেকে টানা ১২ বছর বিবিসির বাংলাদেশ সংবাদদাতা ছিলেন প্রখ্যাত এই সাংবাদিক।

আতাউস সামাদ ১৯৩৭ সালের ১৬ নভেম্বর ময়মনসিংহ জেলায় জন্মগ্রহণ করেন। ব্যক্তিগত জীবনে তিন সন্তানের জনক তিনি। প্রবীণ এই সাংবাদিকের মৃত্যুতে তাৎক্ষণিকভাবে প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আবদাল আহমেদ, ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের একাংশের সভাপতি রুহুল আমিন গাজী, মহাসচিব শওকত মাহমুদ, ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি আবদুস শহীদ, সাধারণ সম্পাদক বাকের হোসাইন, ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সভাপতি সাখাওয়াত হোসেন বাদশা, সাধারণ সম্পাদক সাজ্জাদ আলম খান ছাড়াও আইরিশ বাংলা বার্তা সহ বিভিন্ন সংগঠন শোক প্রকাশ করেছে।

এ, কে, আজাদ – বার্তা সম্পাদক