শান্তিতে নোবেল পুরস্কার বিজয়ী বাংলাদেশী ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সামাজিক বাণিজ্যের আলোকে দারিদ্র্য দূরীকরণে এবার উদ্যোগ নিয়েছে চীনের ১১২ বছরের ঐতিহ্যবাহী সান ইয়াত-সেন ইউনিভার্সিটি। তারা ঘোষণা দিয়েছে সামাজিক বাণিজ্যের ধারণাকে কাজে লাগিয়ে দারিদ্র্য দূরীকরণে তারা স্থাপন করবে একটি সেন্টার।
তার নাম হবে ইউনূস সেন্টার ফর মাইক্রোক্রেডিট অ্যান্ড সোশ্যাল বিজনেস। ওই ইউনিভার্সিটি ও প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূসের অংশীদারিত্বে নতুন এই কেন্দ্রটি চলবে বলে জানানো হয়েছে এক বিবৃতিতে।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, ওই ইউনিভার্সিটির বিজনেস স্কুল ও দ্য টাইম উইকলির মিডিয়া গ্রুপ সমপ্রতি ইন্টারন্যাশনাল ফোরাম অব মাইক্রোক্রেডিট অ্যান্ড সোশ্যাল বিজনেস শীর্ষক এক সেমিনারের আয়োজন করে। সেখানে ওই ঘোষণা দেয়া হয়। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন প্রফেসর ইউনূস। এছাড়া, ওই সেমিনারে উপস্থিত ছিলেন প্রায় ২০০০ ফ্যাকাল্টি সদস্য ও স্টাফ। ওই বিবৃতিতে বলা হয়, প্রস্তাবিত ইউনূস সেন্টার থেকে চীনের গরিবদের মধ্যে স্থিতিশীল ক্ষুদ্রঋণবিষয়ক কর্মকাণ্ড পরিচালনা করা হবে। পাশাপাশি কুয়াং তুং প্রদেশে সামাজিক বাণিজ্য প্রচলন করা হবে। পরে এ কর্মসূচি অন্য প্রদেশগুলোতে বিস্তৃত করা হবে। এই কেন্দ্রটি প্রতিস্থাপনের জন্য ইউনূস সেন্টার ও গ্রামীণ ট্রাস্টের একটি দল ওই বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যবস্থাপনাবিষয়ক ফ্যাকাল্টি ও টাইম উইকলি মিডিয়া গ্রুপের সঙ্গে কাজ করছে। এক্ষেত্রে বাংলাদেশের অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগানো হবে।
উল্লেখ্য, ১৯৯৪ সাল থেকে গ্রামীণ ট্রাস্ট চীনের ১০টি প্রদেশে ১৭টি ক্ষুদ্রঋণবিষয়ক প্রকল্প বাস্তবায়ন করেছে। প্রফেসর ড. ইউনূস চীন সফরের সময় হংকং, বেইজিং ও তাইপে’তে সামাজিক বাণিজ্যবিষয়ক ফোরামে বক্তব্য রাখেন। এতে উপস্থিত ছিলেন সরকারের প্রতিনিধি, ব্যবসায়ী নেতা ও শিক্ষার্থীরা। প্রতিটি অনুষ্ঠানে অংশ নিয়েছেন প্রায় ৩ হাজার প্রতিনিধি।
অনলাইন ডেস্ক